চলে গেলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা এক সময়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার অবশ্য তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রথমে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষার পরই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ফলে ভর্তি আর করতে হয়নি। দেহ নিয়ে তাঁর লেক গার্ডেনসের বাড়িতে ফিরে আসেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা। এরপর স্থানীয় এক চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করার পর জানান পঙ্কজবাবুর হার্ট বিট রয়েছে। মৃদু কম্পন পাচ্ছেন তিনি। শোক কাটিয়ে দ্রুত তাঁর পরিবারের লোকজন পঙ্কজবাবুকে নিয়ে ছোটেন ফর্টিস হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন পঙ্কজবাবু আর নেই। তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এই ডামাডোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেন। এদিন পঙ্কজবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হতে থাকেন তৃণমূলের একর পর এক নেতা। ২০০১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন তৃণমূল নেত্রীর খুব কাছের লোক। যাঁরা তৃণমূলের জন্মলগ্নের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত, তাঁরা জানেন কংগ্রেস ভেঙে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি যে গুটিকয়েক কংগ্রেস নেতাকে পাশে পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত এরপর পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডে পরিণত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের পর ৫ বছর তিনি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন। পরে অবশ্য দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যান। পরে দীর্ঘ সময় অসুস্থও ছিলেন। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবরে শুধু তৃণমূল বলে নয় অন্যান্য বিরোধী দলের তরফেও শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।