একটা রুমাল দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমপর্ব, জানালেন পঙ্কজ ত্রিপাঠির স্ত্রী
১৯৯৩ সালে আলাপ। তারপর প্রেমপর্ব। যা বিয়েতে এসে পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয় ২০০৪ সালে। সেই দীর্ঘ প্রেমপর্বের গল্পই বললেন বিখ্যাত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির স্ত্রী মৃদুলা।
মৃদুলা তখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। আর পঙ্কজ ত্রিপাঠি পড়েন একাদশ শ্রেণিতে। মৃদুলার দাদার বিয়ের সময় প্রথম পঙ্কজের ছবি দেখেন তিনি। কীভাবে? পঙ্কজ হলেন তাঁর বৌদির ভাই। সেই সূত্রে বিয়ের তিলক পর্বে তাঁদের প্রথম দেখা।
মৃদুলার দাদার বিয়ে আর পঙ্কজের দিদির। মৃদুলার বন্ধুরা পঙ্কজের ছবি দেখে মৃদুলাকে বলতেন এই ছেলেটির সঙ্গে তোকেও ভাল মানাবে। যদিও তাতে যে খুব গুরুত্ব তিনি দিয়েছিলেন তা নয়।
তবে ১৯৯৩ সালে বিয়ের সময় হাত ধুয়ে একটা রুমাল চেয়েছিলেন পঙ্কজ। মৃদুলা একটা রুমাল এনে দেনও। মৃদুলা মনে করেন রুমাল দেওয়ার মধ্যে দিয়েই তাঁরা একে অপরের প্রথম স্পর্শ পান।
তারপর সময় এগিয়েছে। একে অপরকে কখনও মুখে বলেননি ভালবাসার কথা। কিন্তু তা যেন কেমন ভাবে এগিয়ে চলছিল। মৃদুলার মতে এটা ছিল অরগানিক প্রেম।
পঙ্কজকে তিনি এখনও বলেন তিনি তাঁকে যখন পছন্দ করেন তখন তাঁর সবে দাড়ি গোঁফ বার হতে শুরু করেছে। মৃদুলা এও বলেন তাঁর বৌদির ভাই, যিনি কিনা তাঁর চেয়ে একটু বয়সে বড়ও। তাই মৃদুলার মা বলেছিলেন পঙ্কজকে ভাইয়া বলে সম্বোধন করতে।
সেটা তো কিছুতেই সম্ভব ছিলনা। তাই মৃদুলা খুঁজে বার করেন অন্য পথ। তিনি পঙ্কজজি বলে ডাকা শুরু করেন। যা দীর্ঘদিন চলেছিল। এখন অবশ্য তিনি পঙ্কজকে পতি বলে সম্বোধন করেন।
বলিউডের চরিত্রাভিনেতা হিসাবে পঙ্কজ ত্রিপাঠি একটা স্তম্ভের মত নাম। তাঁর অভিনয় ক্ষমতা ও দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সেই মানুষটির ১২ বছরের প্রেমপর্ব কাটিয়ে বিয়ে হয় মৃদুলার সঙ্গে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা