সমুদ্রের ধারে ভেসে আসা দেহটি কি মৎস্যকন্যার, ধন্ধে বিজ্ঞানীরাও
সমুদ্রের ধারে এমন অনেক কিছু ভেসে আসে যা বিজ্ঞানীদেরও থমকে দেয়। এক দেহ ঘিরে এবার চাঞ্চল্য ছড়াল। যা দেখতে হুবহু মৎস্যকন্যার মত।
মৎস্যকন্যার কথা অনেকের জানা। তবে তা রূপকথা হয়েই থেকে গেছে। এমন কোনও প্রাণ সমুদ্রের জলে ভেসে বেড়ায় এমন কোনও উদাহরণ নেই। কেউ কখনও মৎস্যকন্যাকে দেখেননি। এমন এক নারী দেহ যার পায়ের অংশটা মাছের লেজের মতন তাকেই মৎস্যকন্যা বলে মনে করা হয়।
নানা রূপকথার কাহিনি তৈরি হয়েছে এই মৎস্যকন্যাকে সামনে রেখে। কিন্তু এবার পাপুয়া নিউ গিনির এক সমুদ্রসৈকতে এমন এক মাংসপিণ্ড ভেসে এল যা বিজ্ঞানীদেরও অবাক করে দিয়েছে।
হুবহু মৎস্যকন্যার চেহারা। ধবধবে সাদা রংয়ের মৎস্যকন্যার দেহ যেন পড়ে আছে বালির ওপর। যাকে ঘিরে হইচই শুরু হয়ে যায়। যার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যদিও যে মাংসপিণ্ডটি ভেসে এসেছে তার অনেকটাই পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাথাটা নেই। দেহের অনেক অংশও সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছে। যে অংশ তারপর ভেসে এসেছে তার কিন্তু কাল্পনিক মৎস্যকন্যার সঙ্গে দারুণ মিল।
তবে কি মৎস্যকন্যা সত্যিই আছে? এমন প্রশ্ন কিছু মানুষের মনে জাগতে শুরু করেছে এটি দেখার পর। তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন সমুদ্রে এমন অনেক মাংসপিণ্ড ভেসে বেড়ায়। তার কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। যাকে তাঁরা গ্লবস্টার বলে ব্যাখ্যা করেন।
এটাও সেটাই বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু তা এমন হুবহু রূপকথার মৎস্যকন্যার মত দেখতে কেন? তার অবশ্য কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।