এ রেস্তোরাঁর খাবারের ডিশ মানেই তাতে পোকা নড়ে বেড়াবে
ওয়েটার খাবার এনে রাখলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হতে পারে তাতে পোকা নড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এ রেস্তোরাঁর খাবারের ডিশ মানেই তাতে পোকা নড়ে বেড়াবে।
ভিড় জমে এ রেস্তোরাঁয়। তবে সকলের জন্য এ রেস্তোরাঁ নয়। বিশেষত যাঁদের গা ঘিন ঘিন করার প্রবণতা আছে বা হৃদয় খুব দুর্বল তাঁদের এদিকটা এড়িয়ে চলাই মঙ্গল।
কারণ এখানে খাবার অর্ডার দেওয়ার পর ওয়েটার যে ডিশ সার্ভ করবেন তাতে অবশ্যই নড়ে বেড়াবে নানা ধরনের পোকা, জ্যান্ত পোকা। সেটাই খেয়ে ফেলা যাবে দিব্যি।
তবে ওই যে খাবার জন্য মনের জোর থাকা চাই। তারপর খেতে পারলে তা শরীরের পক্ষেও উপকারি। আবার স্বাদেও বেশ।
রেস্তোরাঁর যিনি প্রধান শেফ তাঁরই মাথা থেকে বেরিয়েছে এই বিশেষ ডিশ। যা এই রেস্তোরাঁকে অন্য সব রেস্তোরাঁ থেকে আলাদা করেছে।
তবে বিশ্বে মানুষের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে একেই ভবিষ্যতের খাবার বলছেন অনেকে। বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যমই এই রেস্তোরাঁ সম্বন্ধে ফলাও করে লিখেছে।
প্যারিসে খোলা আকাশের নিচেই এই ইনোভেত নামে রেস্তোরাঁর টেবিল, চেয়ার সাজানো থাকে। রেস্তোরাঁটি সম্বন্ধে যাঁদের ধারনা আছে তাঁরা জানেন সে পাস্তাই হোক বা চকোলেট ডিস, পোকা থাকবেই।
কখনও তা কিছুটা আঁচে নেড়ে সার্ভ করা হয়। আবার কোনও ডিশে তা জ্যান্তই ঘুরে বেড়ায়। তবে খেতে মন্দ নয়। শুধু খাবার মতন মনের জোরটা চাই।
মিলওয়ার্ম বা পতঙ্গের শূককীট দিয়ে তৈরি হয় এসব সুস্বাদু এবং একদম আলাদা ডিশগুলি। যাতে অনেক সময় ঝিঁঝিঁ পোকা বা পঙ্গপালও একটু নেড়ে চেড়ে সার্ভ করা হয়।
ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি এজেন্সি কিন্তু এসব পোকাযুক্ত খাবারকে মান্যতা দিয়েছে। এ খাবার শরীরের পক্ষে ভাল বলেই জানানো হয়েছে।
কিন্তু চোখে দেখে মনকে শক্ত করে প্রথমে একবার খেয়ে দেখতে হবে খাবার। আর যদি দেখেই সহ্য না হয় তাহলে বমিও হয়ে যেতে পারে। এখন মনকে তৈরি করে এই রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।