পরীক্ষার নামে গোপন অঙ্গে আঙুল, এখনও ভুলতে পারেননি প্যারিস
তখন তিনি কিশোরী। স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। তখনই এক রাতে তাঁদের বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে ঘটেছিল ঘটনাটা। যা আজও তাঁর স্মৃতিতে তাজা।
মানুষের জীবনে যেমন কিছু ভাল স্মৃতি চিরদিনের হয়ে থেকে যায়, তেমনই দুঃস্বপ্নের মত স্মৃতিও জীবনভর অনেক চেষ্টা করেও মুছে ফেলতে পারা যায়না।
সময়ে অসময়ে সেইসব স্মৃতি এসে ভিড় করে মনে। মন ভারাক্রান্ত করে দেয়। ৪১ বছর বয়সে পৌঁছে তেমনই এক স্মৃতি এবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বিখ্যাত মডেল প্যারিস হিলটন।
প্যারিস জানিয়েছেন, তিনি তখন আমেরিকার ইউটার প্রোভো ক্যানন স্কুলে পড়াশোনা করছেন। সেখানে হস্টেলে থেকে পড়তেন তিনি।
একদিন রাত তখন ৩টে কি ৪টে হবে। তাঁদের কয়েকজন ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় হস্টেলের কয়েকজন কর্মচারি। তাঁরা তখন কিশোরী বয়সের মেয়ে। তাঁদের জানানো হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।
একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। তারপর কিশোরীদের এক এক করে একটি প্যাড দেওয়া টেবিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়। শুয়ে পড়লে তাঁদের পা ফাঁক করতে বলে ওই স্কুলের কর্মীরা।
প্যারিসের মতে, তিনি বুঝতে পারেন যে সে ঘরে কোনও চিকিৎসক নেই। তবু স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে পা ফাঁক করতে বলায় প্রতিবাদ করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে তখন দাবড়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় যা করতে বলা হচ্ছে তাঁরা যেন করেন।
কিশোরী কয়েকটি মেয়ে ভয়ে সেদিন কিছু বলে উঠতে পারেননি। প্যারিস জানান, পা ফাঁক করলে তাঁর শরীরে তাদের আঙুল ঢুকিয়ে দেয় ওই কর্মীরা। সেই দুঃস্বপ্নের রাত তিনি আজও ভুলতে পারেননি। প্যারিস জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে সেদিন তাঁদের সঙ্গে কি হয়েছিল তা বুঝতে এখন আর অসুবিধা হয়না তাঁর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা