রাজ্যসভায় এদিন একটি প্ল্যাকার্ডে ২ ধরণের ৫০০ টাকার নোট দেখিয়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল। তাঁর প্রশ্ন, তাঁর হাতে থাকা ২ ধরণের ৫০০ টাকার ছবিতে নোটের সাইজ এবং ডিজাইন আলাদা। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কীকরে ২ ধরণের ৫০০ টাকার নোট ছাপতে পারে? কপিল সিব্বল ২ ধরণের নোটকে সামনে রেখে কেন্দ্রকে নিশানা করতেও ছাড়েননি। তাঁর দাবি, এবার বোঝা গেল কেন কেন্দ্র নোটবন্দির রাস্তায় হাঁটল। ২ ধরণের ৫০০ টাকার নোটকে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি।
সুর আরও চড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, তাঁদের সরকার কখনও এমন ২ ধরণের নোট ছাপায়নি। একটা দলের জন্য আর একটা সরকারের জন্য। কংগ্রেসের দাবি, এই কারণেই বিজেপি হঠাৎ করে এতটাকা ফাণ্ড করে ফেলেছে।
যদিও কংগ্রেসের এসব দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর পাল্টা দাবি, এত নোট ছাপা হচ্ছে। তারমধ্যে একটা দুটো নোট ছোটবড় হয়ে যেতে পারে। এটা সংসদে তোলার মত কোনও প্রসঙ্গ নয়। কংগ্রেস দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত প্রশ্ন তুলছে। এভাবে কংগ্রেস জিরো আওয়ারের সময় নষ্ট করছে।
বিজেপি সাংসদ মুখতার আব্বাস নাকভি নোটগুলি কোথা থেকে এল সে সম্বন্ধে জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও এতে কংগ্রেস সাংসদরা দমে যাননি। কার্যত এই ইস্যুতে তাঁদের হৈচৈতে রাজ্যসভার অধিবেশন তখনকার মত মুলতুবি হয়ে যায়।