প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময়ে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন। তাঁর বক্তব্যে একসময়ে জায়গা পায় আধার প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন কংগ্রেস আধার কার্ড তৈরির কৃতিত্বের অধিকারী নয়। ১৯৯৮-তে এনডিএ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন লালকৃষ্ণ আডবাণীই প্রথম দেশ জুড়ে একটিমাত্র পরিচয়পত্রের ধারণা দেন। প্রধানমন্ত্রী একথা বলার পরই খুব জোরে জোরে হেসে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী এতে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলেও তারপর হাসির মাঝেই বলতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কড়া ভাষায় তিনি রেণুকা চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি এমন করছেন? প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও বলেন তিনি। সেসময়ে প্রধানমন্ত্রী আবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে থামিয়ে দেন। বলেন রেণুকা চৌধুরীকে যেন তিনি হাসি থামাতে না বলেন। কারণ বহুদিন পর প্রধানমন্ত্রীর এই হাসি শুনে রামায়ণ সিরিয়ালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। একথা শোনার পরই হাসিতে ফেটে পড়েন সকলে। প্রধানমন্ত্রী রামায়ণ সিরিয়ালের কোনও চরিত্রের নাম না করলেও, ইঙ্গিত যে ছিল কোনও নেগেটিভ চরিত্রের দিকে তা পরিস্কার হয়ে যায়।
এর কয়েক ঘণ্টার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রামায়ণ সিরিয়ালে সূর্পণখার হাসির ভিডিওটি পোস্ট করেন। আর তাতেই ঘৃতাহুতি পড়ে। তাঁদের সাংসদকে সূর্পণখা বলে অপমান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয় কংগ্রেস।