বাজেট অধিবেশনেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব তুলে ভোটাভুটির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তখন লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই বুধবার ফের লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস, তেলেগু দেশম পার্টি ও এনসিপি। এবার কিন্তু লোকসভায় গৃহীত হয়েছে প্রস্তাব। ঠিক হয়েছে বিতর্কের পর আগামী শুক্রবার ভোটাভুটি পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
এই মুহুর্তে শরিকদের মিলিয়ে লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সদস্য সংখ্যা ২৭৩। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেক বেশি। শরিকদের একটা বড় অংশের ভোট না পেলেও কিছু আসে যায়না বিজেপির। তারাই জিতবে। হিসেব তাই বলছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও তেমনই মনে করছেন। ফলে এ নিয়ে বড় একটা চিন্তিত নয় বিজেপি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন। তাঁরাই জিতবেন। প্রসঙ্গত শেষ ১৫ বছর আগে তৎকালীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। সেবার বিজেপি অনায়াসেই তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয়। যদিও কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী দাবি করেছেন তাঁদের কাছে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের সংখ্যা নেই, কে বলেছে?
তবু এবারও যে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা যথেষ্ট তা বিরোধীরাও হয়তো জানেন। কিন্তু এটা ২০১৯-এর আগে একটা চাল ছাড়া কিছু নয় বলেই মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। বিরোধীরা দেখাতে চাইছেন বিজেপি সরকারের ওপর থেকে অনেকটাই ভরসা উঠেছে শরিকদের। ফলে আগের সংখ্যা আর নেই। সব বিরোধী দলগুলোকে একজোট হতেও এই তথ্য বড় ভূমিকা নিতে পারে। যা মোদী সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটা অক্সিজেন পেতে পারে বিরোধীরাও।