সংসদের একটা নিজস্ব গরিমা আছে। কিছু প্রোটোকল আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আসনে বসে আছেন সেটা কোনও ব্যক্তির নয়, প্রধানমন্ত্রীর আসন। আর প্রধানমন্ত্রীর আসনের নিজস্ব একটা মর্যাদা আছে। ভাষণ শেষে রাহুল গান্ধী যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের মধ্যেই গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন তা করে তিনি ঠিক করেননি। শুক্রবার প্রবল আক্রমণাত্মক ভাষণের শেষে আচমকাই রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা প্রসঙ্গে এদিন এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন সেরে নিজের আসনে ফিরে আসার পর রাহুল গান্ধী চোখ টিপে অন্য সাংসদকে ইশারা করেন। মুখে ছিল দুষ্টুমি ভরা হাসিও। তাঁর সেই ক্ষণিকের চোখ টেপা নজর এড়ায়নি কারও। এদিন আলিঙ্গন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এভাবে সংসদের মধ্যে রাহুলের চোখের ভঙ্গিমা নিয়েও অসন্তোষ ব্যক্ত করেন সুমিত্রা মহাজন।
এদিকে লোকসভার অধ্যক্ষের এই ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গনকে রাজনৈতিক সৌজন্য বলেই ব্যাখ্যা করছে। পাশাপাশি তাঁদের প্রশ্ন যদি লোকসভার অধ্যক্ষের মনেই হয় যে রাহুল গান্ধীর আচরণ সংসদের মর্যাদা বা প্রধানমন্ত্রীর আসনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে তবে তা তো তাঁর সামনেই ঘটেছিল। তখন তিনি রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করলেন না কেন? কেন তাঁর দেড় ঘণ্টা পর মনে হল যে এই নিয়ে রাহুল গান্ধীকে ভর্ৎসনা করা দরকার? কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রশ্ন, তবে কী অন্য কোনও চাপ আসার পরই অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন? শুধু কংগ্রেস বলেই নয় প্রায় সব বিরোধী নেতৃত্বই কিন্তু এ প্রশ্ন তুলছেন। কেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন তখনই বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুলে আচমকা দেড় ঘণ্টা পর রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তা তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না।
(ছবি – সৌজন্যে – লোকসভা টিভি)