যতই অনাস্থা আনা হোক, যতই সনিয়া গান্ধী বলুন না কেন যে কে বলেছে তাঁদের কাছে সংখ্যা নেই, বিরোধীরা সকলেই জানতেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার লোকসভায় আস্থা ভোটে হারছে না। যা সংখ্যা দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে তাদের ঝুলিতে। তবু একবার নিজেদের জল মেপে নিতে চাইছিলেন বিরোধীরা। দেখে নিতে চাইছিলেন তাঁদের শক্তি। অন্যদিকে এতে বিজেপিরও জল মাপা হয়ে গেল। ২০১৯-এর আগে যা তাদের জন্যও প্রয়োজনীয় ছিল।
১২ ঘণ্টা আলোচনার পর শুক্রবার রাত ১১টার পর শুরু হয় ভোটাভুটি। সেই ভোটাভুটিতে কার্যত অনায়াস জয় পায় মোদী সরকার। ৩২৫-১২৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পায় তারা। খারিজ হয়ে যায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। এদিনের সহজ জয় কিন্তু ২০১৯-এর আগে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিল। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনে হারতে হারতে বিজেপি কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল। এদিনের ভোটাভুটি কিন্তু তাদের অনেকটাই চাপমুক্ত করল। উল্টে অনাস্থা এনে বিরোধী জোট কিন্তু প্রমাণ করতে পারল না তারা তাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সমর্থ হয়েছে। এদিন ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন শিবসেনা ও বিজু জনতা দলের সাংসদরা। যাকে বিজেপি জন্য ধাক্কা বলে মনে হলেও, তাতে বিজেপির কিছু আসে যায়নি।