১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি করেছিলেন রাজীব গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেসের হিম্মত ছিলনা অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বার করে দেওয়ার। বিজেপির আছে। তাই তারা তা করছে। এদিন অসম কাণ্ডে রাজ্যসভায় অমিত শাহ এই বক্তব্য পেশ করার পরই সভা জুড়ে হৈ হট্টগোল শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস সাংসদরা প্রবল হট্টগোল শুরু করেন। যার জেরে প্রথমে বেলা ১টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। পরে দিনের মত মুলতুবি করে দিতে হয় অধিবেশন।
অসমে নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের বাদ পড়ার ঘটনায় সোমবার থেকেই সরব তৃণমূল সাংসদরা। এদিন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কংগ্রেস সাংসদরাও। রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেলেও লোকসভায় এই ইস্যুতে হৈচৈ বজায় থাকে। এদিন সংসদের বাইরে ধরনায় সামিল হন তৃণমূল সাংসদরা।
এদিকে রাজ্যেও অসম কাণ্ডে ঝড় বইছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক পঞ্জি তৈরি করে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজনকে সেখানে ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় আবার একটি সভায় দাবি করেন এ রাজ্যের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন সীমানা পার করে আসা মানুষজন। ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। অসম ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গত সোমবারই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অসমে বাঙালি খেদাও নিয়ে তিনি চিন্তিত। এভাবে নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়াও তিনি মেনে নিচ্ছেন না।
(ছবি – সৌজন্যে – রাজ্যসভা টিভি)