
লোকসভার হার্ডল সহজেই টপকাল জিএসটি বিল। সোমবার জিএসটি বিল পাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সাফল্যের কৃতিত্ব আগের সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এদিন জিএসটি পাশের আনন্দে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে নেন ইউপিএ আমলে এই বিলটি তিনি ভাল করে বুঝতে পারেননি। তাই সেসময়ে বিরোধিতা করেন। যদিও কংগ্রেস সমর্থন দিলেও মোদীকে খোঁচা মারতে ছাড়েনি। কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, নরেন্দ্র মোদী যে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে বোঝেননি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তা বুঝে গেলেন। এদিকে জিএসটির সাফল্য ভাগ করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংস্কারমুখী বিল দেশ থেকে কর সন্ত্রাস দূর করবে। বিলটিকে দরিদ্রপন্থী বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। জিএসটি চালু হলে তা ভারতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে লোকসভায় পাশের পর এবার এই বিলটি যাবে দেশের সবকটি রাজ্য বিধানসভার কাছে। তবে বিরোধী দলগুলিকেও পাশে পেয়ে যাওয়ায় সেই অনুমোদন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিধানসভাগুলিতে অনুমোদন পেলে বিলটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি সিলমোহর দিলেই তা আইনে রূপান্তরিত হবে। তবে এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে বিলটি কার্যকর হতে হতে পয়লা এপ্রিল হয়ে যাবে।