শীতকালীন অধিবেশন ঐতিহাসিক। কারণ এই অধিবেশনেই পাশ হয়েছে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের মানুষের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ নিয়ে সংবিধান সংশোধনী বিল। এভাবেই বুধবার শেষ হওয়া শীতকালীন অধিবেশনকে ব্যাখ্যা করলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। যদিও এবারের শীতকালীন অধিবেশন খাতায় কলমে যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবু মন্ত্রীর দাবি, গত ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অধিবেশন ১৪টি বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে। ৪টি বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। অধিবেশন মুলতুবি হওয়া বাদ দিলে লোকসভায় ১৭টি সিটিং ঠিকঠাক হয়েছে। যেখান থেকে কার্যকরী উৎপাদনশীলতা ৪৭ শতাংশ। অন্য দিকে রাজ্যসভায় মুলতুবি বাদ দিলে ১৮টি সিটিং থেকে কার্যকরী উৎপাদনশীলতা ২৭ শতাংশ।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সংসদে আর বাকি একটাই অধিবেশন। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্যায় বসতে চলেছে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তার আগে গত বুধবার শেষ হল শীতকালীন অধিবেশন। রাজ্যসভা চলে রাত পর্যন্ত। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণকে নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে রাতের দিকে হয় ভোটাভুটি। যেখানে ১৭২ জন উপস্থিত ও ভোটদানকারী সাংসদের ১৬৫টি সংশোধনের পক্ষে পড়ে। ৭টি বিরুদ্ধে। ফলে সহজেই পাশ হয়ে যায় বিলটি। তার আগে লোকসভাতে আরও সহজে পাশ হয়েছিল এই বিল। তবে রাজ্যসভায় বিলটি আনার পর তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে বিরোধীরা সোচ্চার হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষ থেকে এই বিলকে অত সহজে পাশ করাতে পারেনি কেন্দ্র।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)