রবিবার সন্ধেয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাতে গোটা দেশের নজর এসে পড়েছিল কলকাতার দিকে। পরে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার পর রাতেই বিরোধী অন্য দলগুলি তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিতে শুরু করে। বোঝাই যাচ্ছিল এরপর সোমবার লোকসভা কি পরিস্থিতির মুখে পড়তে চলেছে। হয়ও তাই। সোমবার লোকসভা অধিবেশন শুরুর পর তৃণমূল সাংসদরা তো বটেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী সাংসদরাও সোচ্চার হন।
সকলের দাবি ছিল কেন্দ্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। এটা রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার প্রতিবাদে তাঁরা সোচ্চার হন। প্রবল হৈচৈ-তে বাধ্য হয়ে স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে এদিনের মত সভার কাজ মুলতুবি ঘোষণা করতে হয়। তবে আগামী মঙ্গলবারও যে এ বিষয়ে তৃণমূল সহ বিরোধী সাংসদরা চুপ থাকবেনা না তা পরিস্কার।
এদিন জিরো আওয়ারে এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানান, কোনও আগাম অনুমতি বা কোনও আদালতের নির্দেশপত্র ছাড়াই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে তাঁর বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। বিষয়টির প্রতিবাদ করে রাতেই ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে ব্যবহারের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানান সৌগতবাবু।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)