পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে টার্গেট করে যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইক ভারত করে তাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়নি। শুক্রবার সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির ডেরা টার্গেট করেই আক্রমণ হয়। তাতে কোনও আমজনতার মৃত্যু হয়নি।
সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ এদিন বিরোধীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েন। তিনি বারবার বিরোধীদের জানাতে থাকেন তাঁরা যেন তাঁর কথা শোনেন। এদিন অমিত শাহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন। জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমনে আগের সরকার যেসব জঙ্গিদের হত্যা করত তারা এ দেশেই বেড়ে ওঠা। পাকিস্তান থেকে সীমানা পার করে ভারতে ঢুকে এ দেশেই মানুষকে ট্রেনিং দিত পাক সন্ত্রাসবাদীরা। এনডিএ সরকার সন্ত্রাস দমনে অন্য রাস্তায় হাঁটে।
অমিত শাহর দাবি, তাঁদের সরকার সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকেই টার্গেট করে। পাকিস্তানেই তাদের টার্গেট করা হয়। যাতে জম্মু কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদের মূলে আঘাত করা যায়। অমিত শাহ বলেন, তাঁরা জানেন জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ায় পাকিস্তান থেকে। তাই সন্ত্রাসবাদকে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে তাঁরা পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইক করেন। যেখানে মূল লক্ষ্যই ছিল সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি।
লোকসভা ভোটের আগে পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনা কনভয়ে হামলা হয়। সেখানে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। পাক ভূখণ্ডে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘাঁটিতে আক্রমণ হয়। আকাশপথে আক্রমণ করে ভারত। পাকিস্তানে সেই অপারেশন চালিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা ফিরে আসে দেশে। পরে অবশ্য মিগ নিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬-কে তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানে ভেঙে পড়ে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের যুদ্ধবিমান। তাঁকে গ্রেফতার করে পাক সরকার। অবশ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সসম্মানে অভিনন্দনকে মুক্তি দিতেও বাধ্য হয় পাকিস্তান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা