প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তাঁকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ করেছেন। মার্কিন সফররত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে এমনই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করেন, ওসাকায় জি-২০ বৈঠকের সময় মোদী তাঁকে এই অনুরোধ করেন। এখন পাক প্রধানমন্ত্রীও কি এই প্রস্তাবে রাজি? সে প্রশ্ন ইমরানকে করেন তিনি। ট্রাম্প একথা জানানোর পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন। এমন কথা দেশের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন তা নিয়ে হতবাক সকলে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি দাবি করে কংগ্রেস, সিপিএম।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। তারমধ্যেই মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী এমন কোনও অনুরোধ কখনও করেননি। পাকিস্তানের সঙ্গে যেসব ইস্যু রয়েছে তা নিয়ে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যেতে পারেন। কিন্তু তার আগে পাকিস্তানকে সীমানাপার সন্ত্রাসবাদ থামাতে হবে।
কংগ্রেসের তরফে আনন্দ শর্মা জানান, গোটা দেশই হতবাক। যখন থেকে তাঁরা জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে এদিন সংসদ উত্তপ্ত হয়। রাজ্যসভায় বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সভার কাজ স্থগিত করে দিতে বাধ্য হন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা