বাঁদর আর মানুষের সহাবস্থান ভারতের অনেক জায়গাতেই রয়েছে। যে যার মত থাকে। কেউ কারও সমস্যার কারণ হয়না। কিন্তু মথুরা বা বৃন্দাবনে এমনটা নয়। এখানে বাঁদর বা হনুমানের বাঁদরামিতে অতিষ্ঠ মানুষজন। সে স্থানীয় মানুষই হোন বা পর্যটক। বাঁদরদের পাল্লায় পড়লে আর রক্ষে নেই! এমনও ঘটনা ঘটেছে যে বাঁদরদের আক্রমণে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে মানুষের। আর আহত হওয়ার কথা তো বলারই নয়।
বাঁদরদের তাণ্ডব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর তা ক্রমশ বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চান বাঁদর বা প্রাণিরাও বাঁচুক, মানুষও বাঁচুক। তাই বিষয়টি যেন কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। বন দফতরকে ওই এলাকায় একটি বাঁদর সাফারির জন্যও আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার লোকসভায় জিরো আওয়ারে এই বাঁদর প্রসঙ্গ তুললেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী।
কিন্তু কেন এভাবে বাঁদররা হামলা চালাচ্ছে মানুষের ওপর? হেমা মালিনীর দাবি, এর একটা অন্যতম কারণ হল বাঁদর বা হনুমানকে সিঙ্গারা, কচুরি খাওয়ানোর প্রবণতা। অনেকেই নিজেরা খাওয়ার সময় সিঙ্গারা বা কচুরি কাছে চলে আসা বাঁদরকেও খাইয়ে দেন। এসব খাবার বাঁদরদের সহ্য হচ্ছেনা। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর অসুস্থ হলে তারা মানুষের ওপর হামলা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার জেরে মানুষের প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ক্ষতি হচ্ছে।
বৃন্দাবন বা মথুরাতে যে বাঁদরের উৎপাত বেড়েছে তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। হেমা মালিনীর বক্তব্যে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন সংসদে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন তিনি প্রায়ই বৃন্দাবনে রামকৃষ্ণ মিশনে যান। একদিন তিনি বাঁকেবিহারী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ তিনি বুঝতে পারেন তাঁর চোখে চশমা নেই। সেটা তখন একটি বাঁদরের জিম্মায়। অবশেষে সেই বাঁদরকে ফ্রুটির প্যাকেট দিয়ে চশমা ফেরত পেতে হয়। এদিন এভাবেই বাঁদর সমস্যার সমাধানের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন তৃণমূল সাংসদও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা