প্রধানমন্ত্রী বিদেশ যাত্রা করলে প্রযুক্তিগত কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে মাঝে নামতে হয়। সেটা অন্য দেশেই নামতে হয়। সেখানে একটা সময় প্রধানমন্ত্রীকে অপেক্ষা করতেই হয়। সে প্রযুক্তিগত কারণ থাকতে পারে বা বিমানে জ্বালানি ভরার বিষয়টি থাকতে পারে। এই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এতদিন বিমান বন্দরের কাছে পাঁচতারা হোটেলে চলে যেতেন। সেখানেই থাকতেন। সেখানে বিশ্রাম নিতেন। প্রয়োজনে স্নান করতেন। খাওয়া দাওয়া করতেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী বলেই নন, তাঁর সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদলও একই সুবিধা ভোগ করত। আর এর পুরো খরচ যেত সরকারের কোষাগার থেকে।
ভারতীয় অর্থনীতি এখন বড় একটা সুবিধার অবস্থায় নেই। বৃদ্ধির হার কমছে। সরকারের ঘরেও অর্থের টান। তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রার বিপুল খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে লোকসভায় বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্থির করেছেন রাজকোষের ব্যয় সংকোচের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে তিনি বিদেশ যাত্রার মাঝে প্রযুক্তিগত বা জ্বালানি ভরার জন্য অন্য দেশে নামতে হলে সেখানে আর পাঁচতারা হোটেলে উঠবেন না।
অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী এবার থেকে বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করবেন। বিমানবন্দরের টার্মিনালেই সময়টা কাটিয়ে দেবেন তিনি। সেখানেই বিশ্রাম বা স্নান সারবেন। অমিত শাহ বলেন, এমনিতেই অযথা খরচ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরকালে তাঁর ২০ শতাংশ কর্মীকেও সঙ্গে নেননা। সরকারি প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পরপর গাড়ি ব্যবহার একদম পছন্দ করেননা বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি অফিসারের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করেছেন। এখন অনেক আধিকারিক বড় কোনও গাড়িতে একসঙ্গে আসেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা