National

৩৬ ঘণ্টায় দিল্লি হিংসা থামিয়েছে পুলিশ, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এ ধরনের কোনও হিংসাই কাম্য নয়। কোনও সরকারেরই কাম্য নয়। কিন্তু এটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। পুলিশ এই হিংসা থামাতে ৩৬ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। তার মধ্যেই এই হিংসাকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে তারা। হিংসা থামাতে দিল্লি পুলিশ উদ্যোগী ছিলনা বলে যে অভিযোগ সামনে আসছে তাও খণ্ডন করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিংসা রুখতে দিল্লি পুলিশ সচেষ্ট ছিল। লাঠিচার্জ হয়েছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে।

বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে অমিত শাহ বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির পর একটা ঘটনাও দিল্লিতে ঘটেনি। বিরোধীরা এই হিংসাকে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। অমিত শাহ বলেন, দিল্লি পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। সব সত্য সামনে আসবে। তবে দিল্লি পুলিশ কিছু করেনি এটা ভুল। তারা সবসময় চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আর খুব কম সময়ে হিংসা নিয়ন্ত্রণেও এনেছে।


অমিত শাহ কোথায়? দিল্লি হিংসার সময় এমন প্রশ্ন বারবার উঠেছে। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় ভারত সফরে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি কিন্তু সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি তাজমহলেও যাননি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেওয়া নৈশভোজেও যাননি। তিনি তখন দিল্লি পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বসে দিল্লি হিংসা থামানোর কৌশল ঠিক করছিলেন। অমিত শাহ জানান, তিনি জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় পাঠিয়েও ছিলেন। তিনি নিজে যাননি। কারণ তাঁর যাওয়াটা নয়, হিংসা থামানোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

অমিত শাহ এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে জানান, দিল্লি হিংসায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে তিনি আশ্বস্ত করতে চান যে যারাই এর পিছনে আছে তারা রেহাই পাবেনা। সে তারা যে গোষ্ঠী, যে জাতি, যে দলেরই হোক না কেন। তিনি এদিন কংগ্রেসের দিকে নিশানা করে জানান, দেশে যত এমন হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার ৭৬ শতাংশ হিংসা তাদের সময়েই হয়েছে। তাই কংগ্রেস তাঁদের দিকে আঙুল তুলতে পারেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button