বাদল অধিবেশনে সংসদে কোনও রান্না হবেনা
সংসদের ক্যান্টিনের ভাল খাবারের জন্য সুনাম আছে। বাদল অধিবেশনে সংসদে কিন্তু কোনও রান্না এবার হবে না।
নয়াদিল্লি : সংসদে অধিবেশন থাকলে অনেক সাংসদেরই বাড়ির খাবার মুখে রোচেনা। সংসদের ক্যান্টিনের জিভে জল আনা খাবারের স্বাদে বিভোর থাকেন তাঁরা। নানা পদের সম্ভার। প্রতিটি পদ রান্নার গুণে মন ভুলিয়ে দেওয়া। দামও অনেক কম। সব মিলিয়ে সংসদ চালু হলে সাংসদদের অন্যতম আকর্ষণের একটি হয় সংসদের খাবার। কিন্তু এবার সেই রসনা ভোলানো স্বাদ থেকেই বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের। কারণ এবার করোনা পরিস্থিতিতে সংসদে কোনও রান্না হবে না।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু সোমবার থেকে। যা চলবে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত। অধিবেশন একটা করতেই হত। তাই নিয়ম রক্ষার প্রয়োজনে ও বিল পাশ করানোর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে অধিবেশন আয়োজন করা হয়েছে কোভিড প্রোটোকল মেনে। যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালু থাকবে অধিবেশন। তবে অধিবেশনের মাঝে খিদে পেলে সাংসদ থেকে সংসদের অন্যান্য কর্মীদের যে ক্যান্টিন ছিল অন্যতম আকর্ষণ সেখানে এবার রান্না করা খাবারে নিষেধাজ্ঞা।
সাংসদ বা অন্য কর্মী বা সাংবাদিকরা খাবার পাবেন, তবে তা বাইরে থাকে আনা। যেখানে আমিষ ও নিরামিষ, ২ ধরনের খাবারই পাওয়া যাবে। জানা যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের একটি থালি থাকছে। এছাড়া পনির, ভাত, ডাল, রুটির একটি থালি থাকছে। থাকছে চিকেন বিরিয়ানির প্যাকেট। থাকছে চিকেন কাটলেট, সিদ্ধ আনাজের প্যাকেট। সাংসদরা এর মধ্যে পছন্দমত খাবার কিনতেই পারবেন। এছাড়া সাংবাদিক ও অন্য কর্মীরাও খাবার কিনতে পারবেন। তবে তা একদিন আগেই অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে।
বাদল অধিবেশন এবার সোমবার থেকে শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে ১ অক্টোবর। তাই কম সময়ের মধ্যে হওয়ায় কোনও সপ্তাহ শেষের ছুটি থাকছে না। টানা ১ অক্টোবর পর্যন্ত অধিবেশন চলবে। ফলে টানা অধিবেশনে আসতে হচ্ছে প্রতিদিন। আর অধিবেশনে এতটা সময় কাটাতে গেলে খাবার লাগবেই। সকালের অধিবেশনে যাঁরা আসবেন তাঁদের জন্য প্রাতরাশের আয়োজনও থাকছে। তবে সেই নিময় একই। বাইরে থেকে আনা খাবার। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বাইরে থেকে আনা খাবারে সাংসদ বা অন্যরা কতটা ভরসা করতে পারবেন এই করোনা পরিস্থিতিতে সেটা একটা বড় প্রশ্ন তৈরি করছে। তবে বিক্রিবাটা পরিস্কার হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা