কড়া লকডাউন ৭৮ হাজার মৃত্যু রুখে দিয়েছে, দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দেশজুড়ে কড়া লকডাউন রুখে দিয়েছে ৭৮ হাজার মৃত্যু। এমনই দাবি করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
নয়াদিল্লি : সংসদের বাদল অধিবেশনের সোমবার ছিল প্রথম দিন। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ নিয়মের মধ্যে চালু হওয়া এই অধিবেশনের প্রথম দিনে লোকসভায় এক খতিয়ান পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
তিনি দাবি করেছেন, করোনা দেশে ছড়ানো শুরু হতেই সরকার যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল। করোনা রুখতে তা অনেকটা সাহায্য করেছে।
হর্ষ বর্ধন এদিন লোকসভায় দাবি করেন দেশ জোড়া লকডাউন সর্বোচ্চ ২৯ লক্ষ মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছে। সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছে।
তিনি একটি রেঞ্জ পেশ করে জানিয়েছেন লকডাউন দেশ জুড়ে ১৪ লক্ষ থেকে ২৯ লক্ষ পর্যন্ত মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ৩৭ হাজার থেকে ৭৮ হাজার মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়েছে মৃত্যুর হাত থেকে।
হর্ষ বর্ধন আরও দাবি করেন, ৪ মাসের লকডাউনে ভারতের আরও বেশ কিছু সুবিধা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভারত করোনার প্রয়োজনে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে পেরেছে।
এই সময়ের মধ্যে করোনা রুখতে মানবসম্পদের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ভারত তা আরও শক্তিশালী করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাছাড়া পিপিই, মাস্ক বা ভেন্টিলেটর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত এখন এসব তৈরিতে নিজেই সক্ষম।
হর্ষ বর্ধন এদিন আরও একটি খতিয়ান পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে এখন ৯২ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। মাত্র ৫.৮ শতাংশ মানুষকে অক্সিজেন দেওয়ার দরকার পরছে। আর করোনা হয়ে অতিসংকটজনক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন ১.৭ শতাংশ মানুষ। এই খতিয়ান পেশ করে আদপে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
দেশে কিন্তু শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯২ হাজারের ওপর নতুন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। প্রতিদিনই এখন নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজারের ওপরেই থাকছে। মৃত্যু হচ্ছে দৈনিক ১ হাজারের ওপর মানুষের। সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকে। সুস্থতার হার ৭৮ শতাংশের কাছে পৌঁছেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা