লোকসভার ১৭ জন সাংসদের দেহে করোনার হদিশ, তালিকায় বাংলার ১ সাংসদ
সংসদের বাদল অধিবেশন চালু হল সোমবার থেকে। সেখানে অধিবেশন শুরুর আগে করোনা পরীক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক।
নয়াদিল্লি : গত ৯ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে বসেছিল বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশনে যোগ দিতে আসা বিধায়কদের জন্য করোনা পরীক্ষা ছিল আবশ্যিক। সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানেও সাংসদদের জন্য সংসদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার আগে করোনা পরীক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক। আর সেই করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে লোকসভার ১৭ জন সাংসদের দেহে করোনার হদিশ পাওয়া গেল। গত রবিবার ও সোমবার সকলের পরীক্ষা হয়।
যে ১৭ জন সাংসদের দেহে করোনা পাওয়া গিয়েছে তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। এই ১৭ জনের মধ্যে ১২ জন বিজেপির সাংসদ রয়েছেন।
এছাড়া ওয়াইএসআর কংগ্রেস-এর ২ জন সাংসদ, ১ জন শিবসেনা সাংসদ, ১ জন আরএলপি সাংসদ এবং ১ জন ডিএমকে সাংসদ রয়েছেন। বিজেপি সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন মীনাক্ষী লেখি, অনন্ত কুমার হেগড়ের মত সাংসদ।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার গত রবিবারই জেনে যান তাঁর করোনা হয়েছে। তারপরই তিনি ট্যুইট করে জানান তাঁর করোনা হওয়ার কথা। জানান গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা যেন তাঁদের শরীরের দিকে নজর রাখেন। উপসর্গ সামান্য থাকলেও যেন পরীক্ষা করিয়ে নেন।
তিনি নিজে সুস্থ আছেন বলেই জানান বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জানান চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলছেন তিনি।
করোনা আবহে ইতিমধ্যেই ৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর করোনা ধরা পড়েছে। এছাড়া ২৫ জন সাংসদ ও বিধায়ক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ১ জন সাংসদ মারাও গেছেন করোনায়। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন বিধায়কের।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনায় কাবু হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি করোনামুক্ত হলেও তাঁকে তারপর ২ বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। গত শনিবার রাতেও তাঁকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এইমস-এ ভর্তি করা হয়।
এদিকে সোমবার অভূতপূর্ব সুরক্ষাবিধি মেনে সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন চালু হয়েছে। সাংসদরা হাজিরা দিয়েছেন হাজিরা-র জন্য বিশেষ অ্যাপে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা