পাঁপড় খেয়ে তো কেউ সুস্থ হলেন না, কেন্দ্রকে খোঁচা সেনা সাংসদের
পাঁপড় খেয়ে তো কেউ সুস্থ হলেন না। বরং করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সচেষ্ট মহারাষ্ট্র সরকার। এভাবেই কেন্দ্রকে খোঁচা দিলেন সঞ্জয় রাউত।
নয়াদিল্লি : গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল দাবি করেছিলেন যে পাঁপড় খেলে তা করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার মত অ্যান্টিবডি দেহে তৈরি করে। তিনি একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের পাঁপড়ের কথা বলেন। জানান ভাবিজি পাঁপড় নামের একটি ব্র্যান্ডের তৈরি পাঁপড় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তখনই পাঁপড় খেয়ে করোনাকে দূরে রাখার এই তত্ত্ব নিয়ে কটাক্ষের ঝড় ওঠে। এবার এই সেপ্টেম্বরে এসে তা নিয়ে আবার খোঁচা দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
সঞ্জয় রাউত বৃহস্পতিবার সংসদে বলতে গিয়ে বলেন, মহারাষ্ট্র সরকার অতিমারি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে। তবে কেউ পাঁপড় খেয়ে সুস্থ হননি। সঞ্জয় রাউত দাবি করেন মহারাষ্ট্র সরকার দারুণভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ধারাবি।
ধারাবি হল এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি। অতি ঘন ঘিঞ্জি এই বস্তিতে করোনা ছড়িয়ে পড়লে অনেক বিশেষজ্ঞই জানিয়েছিলেন যে তা নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। কিন্তু সেই ধারাবি-তে করোনা ছড়ানো অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে মহারাষ্ট্র সরকার। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও উল্লেখ করে।
কংগ্রেস ও শিবসেনা এদিন যৌথভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। কংগ্রেস দাবি করে মহারাষ্ট্রকে জোর করে বদনাম দেওয়া হচ্ছে। তখন তাদের নিশানা করা হচ্ছে যখন একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।
একই কথা শোনা যায় শিবসেনা সাংসদের গলাতেও। করোনা ছড়ানোয় মহারাষ্ট্রের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপির এক সাংসদ। তারপরই পাল্টা সুর চড়ায় কংগ্রেস, শিবসেনা।
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা এদিন কেন্দ্রকে পাল্টা নিশানা করে দেশে আচমকা লকডাউন ঘোষণার বিরোধিতা করেন। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন লকডাউনের ফলে ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ সংক্রমণ এবং ৩৭ হাজার থেকে ৭৮ হাজার মানুষের করোনায় মৃত্যু আটকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এই দাবি করেছেন তা বিস্তারিতভাবে জানাতে বলেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা