ভারতে কটা টিকা তৈরি হচ্ছে, কোনটা কোন অবস্থায়, সংসদে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে ঠিক কটা করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হচ্ছে? সেগুলির মধ্যে কোনটা কোন অবস্থায় রয়েছে, তা সবিস্তারে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি : ভারতে এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য করোনা। ফলে সংসদেও তা নিয়ে আলোচনা জায়গা পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শুক্রবার তিনি বিস্তারিতভাবে জানালেন ভারতে এখন ঠিক কটা করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হচ্ছে? সেগুলির মধ্যে কোনটা কোন অবস্থায় রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে প্রায় ৩০টি করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হচ্ছে। অবশ্য সবকটি একই অবস্থায় নেই। এর মধ্যে ৩টি টিকা এমন রয়েছে যেগুলি অনেকটাই এগিয়ে গেছে তাদের পরীক্ষায়। হিউম্যান ট্রায়ালে তারা অনেকটা এগিয়েছে।
অন্যদিকে আরও ৪টি টিকা এমন রয়েছে যেগুলি তৈরি হচ্ছে এবং সেগুলি প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান করোনা প্রতিষেধক টিকা একবার পেয়ে গেলে তা কীভাবে সকলের দেহে প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম বা ইউপিআই-এর প্রটোকল অনুসরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এজন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই স্থির করছে কীভাবে টিকা বিতরণ ও টিকা দান হবে।
তবে সবই নির্ভর করছে টিকা সহজলভ্য হওয়ার ওপর। একবার তা সহজলভ্য হলে তারপর তা বর্তমানে স্থির করা পথ ধরেই বিতরণ হবে। সংসদে লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর একটি সংস্থার বিষয়ে গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কল্যাণীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকস কোভিডের আরএনএস-র জিনোম সিকোয়েন্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ করতে দেশের আরও ৫টি হাসপাতাল ও সংস্থা কাজ করেছে বলেও জানান হর্ষ বর্ধন।
ভারতে যে ৩টি করোনা প্রতিষেধক টিকা সাফল্যের পথে অনেকটা এগিয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে দেশের ২টি সংস্থা ক্যাডিলা হেলথকেয়ার ও ভারত বায়োটেক-এর ২টি টিকা। যে ২টি টিকাই তাদের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছে।
অন্যদিকে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা-র ভারতে পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা