আলু, পেঁয়াজ, ডাল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়, মজুতে বাধা নেই, পাশ হল বিল
আলু, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেলের মত কৃষি পণ্য আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়। এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২০ রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল। আইন হতে বাকি রাষ্ট্রপতির সই।
নয়াদিল্লি : আলু, পেঁয়াজ বা ডালের মত খাদ্য পণ্যগুলি এতদিন ছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায়। এদিন এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২০ পাশ করার পর আলু, পেঁয়াজ, ডাল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়। এখন তা ইচ্ছামত মজুতেও আর কোনও বাধা রইল না। যা এদিন কার্যত বিরোধীদের হট্টগোল ছাড়াই পাশ হয়ে যায় রাজ্যসভায়। কারণ বিরোধীরা ৮ সাংসদের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
কেন্দ্র অবশ্য দাবি করেছে এতে কৃষকরা উপকৃতই হবেন। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও পথ প্রশস্ত হল। যদিও এর বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। তবে আগামী দিনে যাতে আলু, পেঁয়াজের মত খাদ্যপণ্যে বেসরকারি সংস্থাও ব্যবসা করতে পারে তার রাস্তা খুলল।
কেন্দ্র দাবি করেছে এসব খাদ্যপণ্য মজুতে সীমা নির্দিষ্ট থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। এবার বিনিয়োগ সহজেই হতে পারবে। তাছাড়া কৃষকরা যথেচ্ছ মজুত করতে পারবেন। তাতে তাঁদের কম দামে বাজারে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ছেড়ে দিতে হবে না। তাঁরা তা মজুত করতে পারবেন।
মজুতে নিয়ন্ত্রণ থাকায় তা এতদিন করতে পারতেন না কৃষকরা। তাছাড়া তাঁদের উৎপাদিত পণ্য অনেক সময় নষ্টও হয়ে যেত। যা এখন আর হবে না বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় পাশ হয়েছিল এই এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২০। মঙ্গলবার তা রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল।
১৯৫৫ সালে এসব কৃষিপণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকায় আনে সরকার। তারপর থেকে এগুলি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকায় ছিল। ফলে তা নির্দিষ্ট সীমার ওপর মজুত করা যেত না।
এদিনের বিল পাশ হওয়ার পর বাকি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর। তা হয়ে গেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। তারপর আলু, পেঁয়াজ, ডাল, কিছুর ওপরই আর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকছে না।
সরকার মনে করছে এতে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সংস্থা কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে। যা কৃষকদের লাভবান করে তুলবে।
তবে বিরোধীদের প্রশ্ন আদৌ কী এই বিল কৃষকদের জন্য সুখের হবে? নাকি এতে সুবিধা হবে বৃহৎ সংস্থাগুলির। এর উত্তর পেতে সময়ের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা