দলের দিকে আঙুল তুললেন পার্থ, টাকা অনেকেই তুলতেন, থাকত তাঁর জিম্মায়
এবার ইডি-র সামনে মুখ খুলতে শুরু করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানান, পার্থবাবুর দাবি কেবল তাঁর জিম্মায় টাকা থাকত।
তিনি নিজে কোনও চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা সংগ্রহ করেননি। অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য যে টাকা নেওয়া হত তা থাকত তাঁর জিম্মায়। দলের অনেক নেতাই টাকা তুলতেন। এভাবে তাঁরা টাকা তুলে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় জমিয়ে রেখে দিতেন।
দলের টাকার দরকার পড়লে তার থেকে খরচ করা হত। তিনি যেসব কাগজে সই করেছেন তাও অন্যদের কথায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরার মুখে এমনই জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন এক ইডি আধিকারিক।
এমনকি ওই আধিকারিকের দাবি, পার্থবাবু এও জানিয়েছেন যে অন্য নানা সরকারি বিভাগে চাকরি হয়েছে এভাবে। চাকরি বিক্রি হয়েছে। এই সংস্কৃতি তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই চালু ছিল বলেও দাবি করেছেন পার্থবাবু।
পার্থবাবুর আক্ষেপ অন্য নেতারা বিষয়টায় হাত ধুয়ে ফেলেছেন। আর পুরো দায় তাঁর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সব দাবিই খতিয়ে দেখছে ইডি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির সামনে যা বলেছেন বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে তা কিন্তু তৃণমূলের জন্য অবশ্যই নতুন করে চিন্তার কারণ হল। আরও অন্য নেতার নামও এই ঘটনায় জড়াতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তেমন কানাঘুষোও চলছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কিন্তু তৃণমূলের জন্য বড় কাঁটা হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাণ্ড। এর প্রভাব ভোট বাক্সেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা