উনি সব বললেন কিন্তু এটা বললেন না সিবিআই পিছনে লাগার পরই তিনি বুঝে গেলেন বিজেপি ছাড়া গতি নেই। তাই সিবিআই এর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। মুকুল রায় দিল্লিতে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর কলকাতায় পাল্টা এভাবেই সদ্য প্রাক্তন দলীয় সহকর্মীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন মুকুল রায়কে মুকুল রায় নামে কম ‘কাঁচড়াপাড়ার কাঁচা ছেলে’ বলে বেশি সম্বোধন করেছেন পার্থবাবু। তাঁর দাবি মুকুল বিদায়ে তৃণমূল বেঁচে গেল। শান্তিতে ঘুমনো যাবে।
এদিন মুকুলবাবু দাবি করেছিলেন তাঁকে তৃণমূলনেত্রীই অশোক সিংহল সহ আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেকথা এদিন উড়িয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। মুকুলবাবুর এমন দাবি করার আগে তার স্বপক্ষে প্রমাণ দাখিল করা উচিত বলেও পরামর্শ দেন পার্থবাবু। মুকুলবাবু দাবি করেন তৃণমূল একবার বিজেপি, একবার কংগ্রেস করে বেরিয়েছে। পার্থবাবুর উত্তর, সেকথা এতদিন মুকুলবাবুর মনে হয়নি কেন? এতদিন পরে বোধোদয় হল কেন?
দলকে মুকুলবাবু জমিদারের মত চালাতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করে পার্থবাবু এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তৃণমূলে নেত্রী একজনই। পাশাপাশি তাঁরাও কেউ চাকর নন। নেত্রীকে সামনে রেখে তাঁরা কাজ করছেন। সকলেই সহকর্মী। এদিন মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুকুল রায় কাঁচড়াপাড়ায় রেলের কাজ করতেন। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার বলে কিছু ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে এত বড় বড় পোস্ট পাইয়ে দিয়েছেন।
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মুকুল রায়ের তোলা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন পার্থবাবু। এদিন কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, মুকুল রায়ের ছেলেকেই মুকুল রায় বিধায়ক বানিয়েছেন। এটা তাহলে কী? মুকুল রায়কে কটাক্ষের সুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কাঁচড়াপাড়ার কাঁচা ছেলের হাত থেকে তাঁর দল রেহাই পেল। মুকুল রায় জানিয়েছেন তিনি কিছুদিন ছুটি কাটাতে চান। পার্থবাবুর দাবি, মুকুল রায় বিভিন্ন দলের কাছে তাঁকে নেওয়ার জন্য আবেদন করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু হালে পানি পাচ্ছেন না। তাই সময় নিচ্ছেন।