চিরঞ্জীবীর বন্দুক থেকে গুলি করে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন এই সুপারস্টার
সিনেমা জগতে সুপারস্টার হিসাবে তিনি নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনেও সাফল্য এসেছে। কিন্তু ১৭ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
মানুষের জীবন বদলে যেতে পারে তাঁর নিজের গুণে। যা এখন তিনি নিজেই স্বীকার করছেন। ছোটবেলায় তাঁর হাঁপানির সমস্যা ছিল। এতটাই ছিল যে তাঁকে মাঝে মাঝেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হত। এজন্য তিনি ছোটবেলায় প্রবল মানসিক অবসাদের শিকার হন। তার ওপর ছিল পড়ার চাপ।
তাঁর যখন ১৭ বছর বয়স তখন পরীক্ষার প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি একদিন সবার অলক্ষ্যে দাদা চিরঞ্জীবীর লাইসেন্স থাকা বন্দুকটি হাতে তুলে নেন। তারপর তা থেকে গুলি করে নিজেকে শেষ করতে যাবেন ঠিক সেই সময় সেখানে চলে আসেন তাঁর আর এক বড় দাদা নাগাবাবু এবং বৌদি সুরেখা। তাঁরাই তাঁকে সেদিন শেষ হয়ে যেতে দেননি।
এই ঘটনার কথা শুনে তাঁর দাদা দক্ষিণী সিনেমার আর এক সুপারস্টার চিরঞ্জীবী তাঁকে একটাই কথা বলেছিলেন। তিনি জীবনে কিছু করতে পারুন বা নাই পারুন, তিনি যেন মৃত্যুর কথা না ভাবেন।
তবে এই ঘটনার পর তিনি নিজেকে বদলে ফেলেন। পড়াশোনা, মার্শাল আর্ট শেখা, কর্ণাটক সঙ্গীত শিক্ষা এবং বই পড়ার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দেন।
পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন এক সফল নায়ক। তিনি পবন কল্যাণ। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় তিনি পাওয়ার স্টার নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
বিশেষত তিনি তেলেগু সিনেমায় নিজের একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি করে ফেলেন। নিজের সেই কিশোর বয়সের কথা পবন কল্যাণ নিজেই একটি টিভি অনুষ্ঠানে এসে সকলকে জানালেন।
পবন কল্যাণ এখন শুধু একজন সুপারস্টারই নন, তিনি একটি রাজনৈতিক দলেরও প্রধান। জন সেনা পার্টি নামে তাঁর রাজনৈতিক দল যথেষ্ট শক্তিশালীও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা