১২০ বছর পর ফেরত এল বই, ছিল পুরনো কার্ডটাও
এমনও যে হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। বইটি ফিরে পাওয়ার আশা একেবারেই ছিলনা। তবু ১২০ বছর পর ফেরত এল বইটি।
১২০ বছর হয়ে গেল বইটির কোনও খোঁজ ছিলনা। যিনি নিয়েছিলেন তিনি বইটি ফেরত দেওয়ায় গা করেননি। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ তাই অপেক্ষায় থেকেছিলেন। বই ফেরত আসবে। যে কটা অতিরিক্ত দিন বইটি ওই ব্যক্তি রেখে দিয়েছিলেন তিনি তার ফাইনটা দিয়ে দেবেন।
কিন্তু সে বই আর ফেরত আসেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইব্রেরিও বই ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর বছর কাটতে থাকে। আর বছর কাটতে কাটতে শতবর্ষও পার হয়ে যায়। কিন্তু বই আর ফেরত আসেনি।
হালে কিন্তু সেই বই ফেরত এল। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই ঘটেছে। বই ফেরত এসেছে। লাইব্রেরি থেকে যে বই ১৯০৪ সালে ইস্যু করা হয়েছিল জনৈক হোরেস শর্ট নামে এক ব্যক্তিকে, সেই বই ১২০ বছর পর পেনসিলভানিয়ার ওই লাইব্রেরিতে ফেরত এল।
‘দ্যা ক্রুজ অফ দ্যা এসমেরালদা’ নামে বইটির লেখক হ্যারি কলিংউড। বইটি বেশ মোটা। সেই বইটি একটি স্টলে দেখতে পান একজন।
সেটা হাতে নেওয়ার পর তিনি দেখেন বইয়ের মধ্যে লাইব্রেরির নাম লেখা কার্ড, কবে কাকে ইস্যু করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য এবং লাইব্রেরি নিয়মাবলীও রয়ে গেছে অক্ষত অবস্থায়।
তারপরই তা ফেরত যায় লাইব্রেরিতে। এভাবে যে বইটি ১২০ বছর পর ফেরত আসবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। এত পুরনো এক বই ফেরত পেয়ে কার্যতই আপ্লুত তারা।