চিকিৎসক বলার অনেক আগেই যুবতীর স্তনের রোগ ধরতে পেরেছিল তাঁর পোষ্য
চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দূরে থাক, ওই যুবতী নিজেও টের পাননি তাঁর স্তনের সমস্যার কথা। কিন্তু তাঁর পোষ্য কুকুরটি বুঝিয়ে দিয়েছিল অনেক আগেই।

সালটা ২০২৩। সে সময় তিনি দেখতেন একটা সময় থেকে তাঁর পোষ্য ককাপো প্রজাতির ছোট্ট লোমশ মুচি তাঁর ডান স্তনের ওপর উঠে আসছে। স্তনে তার পা দিয়ে চাপ দিচ্ছে। একটি বিশেষ জায়গাতেই চাপটা দিচ্ছে। স্তন শুঁকছে। তার ছোট ছোট থাবা দিয়ে হাত বোলাচ্ছে।
কিন্তু কেন করছে এমন আচরণ। সেটা বুঝতে পারছিলেননা তিনি। তাঁর আরও অবাক লাগে যখন তাঁর বোনের পোষ্যটিও তাঁর কাছে এসে ঠিক এমনই আচরণ করতে থাকে। ঠিক তাঁর ডান স্তনেই কেন সে চাপ দিচ্ছে, শুঁকছে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা।
এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কুকুরটির এই আচরণ চললেও তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না ওই ৩১ বছরের যুবতী। তবে একদিন তাঁর ডান স্তনেই একটি মশা কামড়ায়। সেখানে চুলকোতে গিয়ে যুবতী অনুভব করেন তাঁর স্তনে একটা শক্ত কিছু হয়েছে।
একটা ডেলার মত কিছু। এবার তাঁর সন্দেহ হয়। তবে কি তাঁর পোষ্যটি এটাই অনেক আগে বুঝতে পেরেছিল! তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। পরীক্ষা হয়। আর তাতেই জানা যায় যে তিনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। বেশ অ্যাডভান্সড স্টেজ।
তিনি নিজে কিছুই বুঝতে পারেননি। কারণ তাঁর যে ধরনের স্তন ক্যানসার তা প্রথমে বোঝাই যায়না। কিন্তু তিনি নিজে না বুঝলেও তাঁর স্থির বিশ্বাস তাঁর পোষ্য ঠিক বুঝেছিল। তাই সে অনেক আগেই তাঁর ডান স্তনে ওভাবে চাপ দিচ্ছিল, শুঁকছিল। হয়তো বোঝাতে চাইছিল সে ভাল বুঝছে না। একটু অন্যরকম। সতর্ক হও।
পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা ওই যুবতীর এখন চিকিৎসা চলছে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এ খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক সংবাদমাধ্যমেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে কি কুকুররা আগেই ক্যানসারের কথা জানতে পারে? এই ঘটনার পর সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।