দোকানে ডাকাতি করে নিজের নাম ঠিকানা দিয়ে গেল ডাকাত
ডাকাতি করেছিল যে দোকানে, সেই দোকানেই নিজের নাম, ঠিকানা লিখে গেল ডাকাত। এমন কাণ্ডে হতবাক সকলে।
ওয়াশিংটন : কেউ যদি কোথাও চুরি-ডাকাতি করে, তাহলে সে প্রথমত চায়না যে তাকে ধরতে পারার মত কোনও ক্লু থেকে যাক। দ্বিতীয়ত সে নিজের মুখ ঢেকে পরিচয় গোপন রাখার সবরকম চেষ্টা করে। কিন্তু এমন কোনও ডাকাতির কথা কেউ শোনেনি যেখানে ডাকাত ডাকাতি করে যেখানে ডাকাতি করেছে সেখানেই তার নাম, ঠিকানা রেখে যায়। গল্প, সিনেমায় শোনা যেত ডাকাত তার একটি সংকেত ছেড়ে যেত যা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে যে এই ডাকাতি কার কীর্তি! কিন্তু সেই গল্পেও কোথাও ডাকাত নাম, ঠিকানা রেখে গেছে বলে শোনা যায়নি। যা গল্পে হয়নি বাস্তবে কিন্তু সেটাই হল।
মার্কিন মুলুকের পেনসিলভানিয়ায় একটি পিৎজার দোকানে চাকরি চাইতে গিয়েছিল এক যুবক। সেখানে তাকে একটি ফর্ম দেওয়া হয়। তা পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। যুবক তাই করে। তাকে জানানো হয় চাকরি তার হয়েছে কিনা তা দোকানের তরফ থেকে তাকে জানানো হবে। এরপর যেটা স্বাভাবিক ছিল যে যুবক দোকান থেকে বেরিয়ে যাবে। অপেক্ষায় থাকবে দোকানের ফোনের। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে ওই যুবকের তারপরই মাথায় কি ঢোকে সে দোকানে রাখা টিপস-এর বাক্সটি ডাকাতি করে।
পকেট থেকে একটি ছুরি বার করে তা দেখিয়েই ডাকাতি করে সে। ওই টিপসের বাক্সে ২২০ ডলার ছিল। যা নিয়ে পালায় সে। ভারতীয় মুদ্রায় ১৬ হাজার ৭৩ টাকা মতন। কিন্তু ছেড়ে যায় তার পূরণ করা ফর্ম। যেখানে সে তার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সবই লিখেছে। এখানেই শেষ নয়, তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগও সে দোকানেই ফেলে যায়। যেখানে জিনিসপত্রের ওপর তার নাম লেখা ছিল।
পুলিশ জানাচ্ছে সহজেই তারা তাই নিকোলাস মার্ক সম্বন্ধে জানতে পেরে যায়। তারপর তার লিখে যাওয়া ঠিকানায় হানা দিয়ে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আপাতত নিকোলাস জেলেই রয়েছে। পুলিশও মেনে নিচ্ছে এমন ডাকাত তারা আগে কখনও দেখেনি।