গ্রাহকের কাছে টিপস পেয়ে কেঁদে ভাসালেন রেস্তোরাঁর কর্মীরা
গ্রাহকের কাছ থেকে টিপস পেয়েই থাকেন রেস্তোরাঁ কর্মীরা। কিন্তু যদি কেউ এসে এমন কোনও টিপস দেন যা তাঁরা ভাবতেই পারেননা, তাহলে তো চোখে জল আসবেই।
ওয়াশিংটন : করোনার জেরে রেস্তোরাঁ ব্যবসা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। ভারতের চেয়েও অনেক বেশি প্রভাব পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকায়। গ্রাহকের সে অর্থে দেখা মিলছে না। রোজগার কমেছে মালিকের। ফলে রোজগার কমেছে কর্মীদেরও।
রেস্তোরাঁ কর্মীদের কাছে টিপস একটা বড় পাওনা। সেটাও ঠিকঠাক জুটছে না। কিন্তু এর মধ্যেই এক ভোজবাজির মত ঘটনা ঘটল আমেরিকার ওহিও শহরের একটি রেস্তোরাঁয়।
সেখানে এক ব্যক্তি খাবার নিতে এসেছিলেন। কেনেন মাত্র ২০৫.৯৪ ডলার মূল্যের খাবার। তারপর যা ঘটল তা ওই রেস্তোরাঁর মালিক বা কর্মীদের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মত।
ওই ব্যক্তিকে বিলটি দেওয়ার পর সেই বিলের তলায় তিনি হাতে লিখে দেন রেস্তোরাঁর কর্মীদের জন্য তিনি ৫ হাজার ৬০০ ডলার টিপস হিসাবে দিচ্ছেন। যা তিনি চেক মারফত প্রদান করেন।
রেস্তোরাঁর মালিককে বলে যান ওই টাকা শুধু ওইদিন উপস্থিত কর্মীদের জন্যই নয়, ওইদিন যাঁরা ডিউটিতে নেই তাঁদের জন্যও। রেস্তোরাঁ মালিক যেন ওই টাকা তাঁর দোকানের সব কর্মীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেন।
ওই রেস্তোরাঁয় মোট ২৮ জন কর্মী রয়েছেন। হিসাবমত প্রত্যেকের ভাগে ২০০ ডলার করে পরে। যা পেয়ে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বড়দিনের আগে।
বড়দিনের আগে যে এমন একটা টিপস তাঁদের পুরো পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে তা ভাবতেও পারেননি রেস্তোরাঁ কর্মীরা। করোনা আবহে এই অর্থের ধারেকাছেও এভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা তাঁদের।
ভারতীয় মুদ্রায় ওই গ্রাহকের টিপস ছিল ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। আর প্রত্যেক কর্মীর ভাগে যে ২০০ ডলার করে পরে তা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি।
ইতিমধ্যেই করোনার জেরে আমেরিকা জুড়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার ছোটবড় রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যেগুলি খোলা রয়েছে সেখানেও বসে খাওয়ার সুবিধা নেই। প্যাক করে খাবার নিয়ে যেতে হচ্ছে গ্রাহককে। সেখানেও সেই ভিড় নেই। এই চরম পরিস্থিতিতে এমন একটা টিপস যেন বর পাওয়ার মত হল ওই রেস্তোরাঁর কর্মীদের জন্য।