একদিকে ঢালু খাদ। সেই খাদের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। আরেকদিকে খাড়া পাহাড়ের গা। মাঝখানে পাহাড়ের গা কেটে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা। তাই নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর রাস্তায় লাগানো রয়েছে সাইনবোর্ড। ‘সাবধানে গাড়ি চালান’। তেমনি ১টা বোর্ড পার হয়ে গত বুধবার রাতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল ১টি যাত্রীবোঝাই বাস। পেরুর অ্যাকুইপা শহর ছিল ডবল ডেকার বাসটির গন্তব্য। অ্যারেকুইপা অঞ্চলের প্যান আমেরিকান হাইওয়ে ধরে রাতের অন্ধকারেই এগিয়ে চলছিল বাসটি।
রাত তখন দেড়টা। পাহাড়ি এলাকায় জমাট বেঁধেছে গাঢ় অন্ধকার। তার উপরে ভয়ংকর বিপদসঙ্কুল রাস্তা। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত কোনও কারণে সেই সময় বাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক। যার ফলে রাস্তা ছেড়ে বাসটি গিয়ে পরে প্রায় ২০০ মিটার নিচে ওকোনা নদীর ধারে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪৪ জন যাত্রীর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। ভোর পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। আহত ২৪ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে ৩ শিশু সহ ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঠিক কী কারণে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো ক্যুইজিন্সকি।