এমন দৃশ্য কেউ কোনওদিন দেখেননি। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর রাজধানী শহর লিমা। এখানে বিশাল সমুদ্রতটে সারা বছরই মানুষের ভিড় লেগে থাকে। পর্যটকেরা ভিড় জমান এখানে। সেই সমুদ্রতট করোনা ভাইরাসের জেরে এখন সুনসান। মার্চের মধ্যভাগ থেকেই এখানে মানুষের দেখা নেই। কারণ সব মানুষই এখন গৃহবন্দি। ফলে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জুড়ে পড়ে থাকা ধূধূ ফাঁকা সমুদ্রতট এখন বহু জানাঅজানা পাখির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।
সিগাল, করমোরান্ট, পেলিকান সহ কত যে প্রজাতির পাখি সেখানে উপস্থিত হয়েছে তা হয়তো গুনে শেষ হওয়ার নয়। স্থানীয় মানুষজন সেই পাখিদের ভিড়ে ঠাসা সমুদ্রতটের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে পাবলিশ করেছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞরাও অবাক যে এত রকম পাখি লিমার মত জনবহুল শহরের সমুদ্রতটে হাজির হতে পারে! কিন্তু এটাই বাস্তব। তারা রীতিমত সেখানে কলোনি তৈরি করে ফেলেছে।
এসব পাখির মধ্যে পরিযায়ী পাখিও রয়েছে। যেমন হাজির হয়েছে প্রচুর ফ্রাঙ্কলিন গালস। এরা উত্তর আমেরিকা থেকে উড়ে হাজির হয়েছে এই লিমার সমুদ্রতটে। এমন নয় যে প্রায়ই আসে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন তাঁরাও অবাক যে এ পাখি এখানেও আসতে পারে। শুধু লিমা বলেই নয়, পেরুর বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রসৈকতেই এখন শুধু পাখি আর পাখি। সুনসান ফাঁকা শহর, নগরগুলোর সমুদ্রতটে এখন একটাই শব্দ গুঞ্জরিত হচ্ছে। তা হল নানা প্রজাতির পাখির প্রাণখোলা ডাক। প্রসঙ্গত পেরুতে এখনও পর্যন্ত ৬৩৫ জন করোনার শিকারের খোঁজ মিলেছে। যারমধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা