দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। সর্বোচ্চ সেই সাজার বিরুদ্ধে এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ। ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করলেন মুশারফ। যদিও মুশারফ নিজে এখন দুবাইতে। তাই তাঁর আইনজীবী এদিন ৮৬ পাতার একটি আবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন।
পারভেজ মুশারফের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। আদালতের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এই চরম সাজা ঘোষণা করে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম যে কোনও সেনাপ্রধানকে মৃত্যুদণ্ডের মুখে পরতে হল।
পাকিস্তানে এখন ইমরান খানের সরকার। এই সাজা ঘোষণার পর আদালতের রায় খুঁটিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন সরকার। এখনই এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য সরকারের তরফে করতে রাজি নয় ইমরান সরকার। বরং আইনজ্ঞদের দিয়ে পুরো রায় খতিয়ে দেখে এবং দেশে এই রায়ের রাজনৈতিক প্রভাব কী হয় তা খতিয়ে দেখার পরই পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সরকার তাদের বক্তব্য জানাবে বলে পরিস্কার করে দেয় পাক সরকার।
৭৬ বছরের মুশারফ অবশ্য এখন পাকিস্তানে নেই। তিনি রয়েছেন দুবাইতে। এখন নয়। ২০১৬ সাল থেকেই তিনি দুবাইয়ে থাকতে শুরু করেছেন। চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে তিনি পাকিস্তান থেকে দুবাই চলে যান। তারপর থেকে তাঁকে বেশ কয়েকবার সাক্ষ্য দিতে পাক আদালতে তলব করা হলেও তিনি দুবাই থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা