মরুভূমির মাঝে হয়েও এই বিখ্যাত শহরে কখনও জলের সমস্যা হয়নি
মরুভূমির মাঝখানে একটা শহর গড়ে উঠতে পারে। তবে সেখানে জলাভাব খুব স্বাভাবিক বিষয়। মরুভূমি মানেই জলের সমস্যা। কিন্তু এই বিখ্যাত শহরে তা কখনও হয়নি।
মরুভূমির মাঝে জল সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম। পানীয় জল থেকে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জল। এজন্য যে পরিমাণ জলের দরকার পড়ে তা ধূধূ বালির প্রান্তরে পাওয়া যায়না।
কিন্তু পেট্রা এমন এক শহর যেখানে জলের সমস্যায় কাউকে ভুগতে হয়নি। অথচ সুবিশাল শহর এটি। মরুভূমির মাঝে হলেও তা জর্ডনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য শহর ছিল। যা ছিল সেখানকার সিল্কের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র।
অত্যন্ত সমৃদ্ধ শহরও ছিল এই পেট্রা। যে শহরের ৩০ হাজার বাসিন্দাকেও জল সরবরাহে কোনও সমস্যা ছিলনা। আর তা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা দেখে আজও স্থপতিরা অবাক হয়ে যান।
পেট্রা শহর জুড়ে ছিল জলের নালা। যা দিয়ে জল বইত সর্বক্ষণ। এই জলের সরবরাহ বিজ্ঞানীদের আজও অবাক করে। খ্রিস্টের জন্মের ৩১২ বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই পেট্রা শহর।
অতি শুকনো রুক্ষ এলাকায় তৈরি এই শহরে কিন্তু জলের সমস্যা হতনা সেই সময়ও এক উন্নত ভাবনার হাত ধরে। সে সময় বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত ভাবে ছিল পেট্রা শহরে।
তাছাড়া কাছাকাছি কোনও ঝরনার জলকে নালা কেটে নিয়ে আসা হত শহর পর্যন্ত। যাতে এই মরু শহরে জলাভাব না হয়। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা জলকষ্ট কাকে বলে ওই শুকনো অঞ্চলে থেকেও কখনও অনুভব করেননি।
পেট্রা শহরের আশপাশে ৯টি ঝর্ণা ছিল। এই ঝর্ণার জলকে টেনে এনেই পেট্রা তখনকার এক অন্যতম প্রধান শহর হয়ে উঠেছিল।