ক্রমশ এগোচ্ছে সাইক্লোন কালমেগি। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় তার গতি হতে পারে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। যদিও স্থানীয় আবহাওয়া দফতর মনে করছে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়লে এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অনেকটাই শক্তি হারাবে। তবে কোনও ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটছে না ফিলিপিন্স প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফিলিপিন্স প্রতিবছরই বড়সড় ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়। ফিলিপিন্স বাঁচে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে গত প্রায় ১ বছরে তেমন কোনও বড়সড় ঘূর্ণিঝড় এই ভূখণ্ডে হানা দেয়নি। অবশেষে আসতে চলেছে কালমেগি। যা ২০১৯ সালে ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়া এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ঝড় হতে চলেছে। স্থানীয়রা অবশ্য এই ঝড়কে কালমেগি বলছেন না। তাঁরা নাম দিয়েছেন রামন।
ফিলিপিন্সের কাগায়ান প্রদেশের ওপর এই ঝড় আছড়ে পড়ার কথা। এখান দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করবে সেটি। তার আগে এই বিশাল এলাকা জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সমুদ্রের কাছে থাকা মানুষজনকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ৫ হাজার মানুষকে সরানো হলেও আরও বহু মানুষকেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফিলিপিন্স বহু ঝড় সামলে অভ্যস্ত। তাই আগে থেকে যাবতীয় বন্দোবস্ত রাখতে চাইছে তারা। সম্পত্তি নষ্টের আতঙ্ক তো রয়েছেই। তবে তার আগে দরকার মানুষের প্রাণ রক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা