একটা ঘূর্ণিঝড় যে তৈরি হচ্ছে তা আগেই জানা ছিল। ক্রমশ তা সমুদ্রে শক্তি বাড়াচ্ছিল। মোটামুটি এটাও পরিস্কার ছিল যে মঙ্গলবারই আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কাম্মুরি’। হলও তাই। ভোরেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ল এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে অজস্র গাছ উপড়ে গেছে। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ২৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ের ঝাপটা বাসিন্দাদের বাড়ির মধ্যেই বন্দি করে ফেলেছে। রাস্তাঘাট অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপের তলায়। হয় গাছ পড়ে আছে। নয়তো ইলেকট্রিক পোস্ট। উড়ে আসা ঘরের চাল, গাছের ডাল এসবও স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে আছে। তবে এখনও ধ্বংসলীলার পুরো হিসাব পরিস্কার নয়।
মঙ্গলবার ভোরে কাম্মুরি আছড়ে পড়ে ফিলিপিন্সের কিউজন প্রদেশে। এখান দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করে সেটি। ক্রমশ তার তাণ্ডবলীলা চালাতে চালাতে ঝড়টি স্থলভাগের আরও ভিতরে প্রবেশ করতে থাকে। কাম্মুরি আসছে এই পূর্বাভাসের পরই উপকূলীয় এলাকা থেকে ক্রমশ মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল। ২ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাম্মুরির জেরে রাত থেকেই ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব পড়েছে সড়ক পরিবহণেও। অধিকাংশ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। ট্রেন চলাচলও অনেক জায়গায় বিঘ্নিত হয়েছে। এদিকে এখন ফিলিপিন্সে বসেছে সাউথ ইস্ট এশিয়ান গেমস। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও ঝড়ের জেরে থমকে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা