সমুদ্রের মাঝে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে যখন তখন মাথার চুল ছাঁটেন শিল্পী
চুল বড় হওয়ার অপেক্ষা তিনি করেননা। কোনও বিশেষ কেশ সজ্জাও তাঁর নেই। বরং যখন তখন চুল ছেঁটে ফেলেন তিনি। কেবল সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সৃষ্টির নেশা বড় নেশা। শিল্পীরা সৃষ্টি সুখের আনন্দে মশগুল থাকেন। তাঁর ভাবনাকে রূপ দিতে অনেক সময় অনেক কিছু বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত থাকেন তাঁরা। যেমন ৩২ বছরের এক যুবক করে থাকেন।
তিনি পেশায় একজন নাবিক। ফলে বছরের ৮ মাস তাঁর কেটে যায় সমুদ্রে ভেসে। এক একাকীত্বের মধ্যেই দিন কাটে তাঁর। তবে তিনি কখনই একা থাকেন না। তাঁর সঙ্গে থাকে তাঁর অমোঘ সৃষ্টি। তিনি ভালবাসেন পোর্ট্রেট আঁকতে।
প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের অবয়ব ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন অক্লেশে। সমস্যাটা হয় জলে দিনের পর দিন কাটানোর সময় রং, তুলির যোগানের অভাব। এই অভাবই তাঁকে এক নয়া মাধ্যমের দিশা দেখিয়েছে।
ফিলিপিন্সের নাগরিক জেসতোনি গার্সিয়া রং, তুলির অভাবে পোর্ট্রেট বানাতে বেছে নেন নিজের মাথার চুলকে। ওটা তো সবসময় সঙ্গেই থাকে। ছেঁটে নিলে ক্যানভাস ভরানোর উপকরণ তৈরি।
প্রথমে তিনি নিজের একটি পোর্ট্রেট বানান নিজেরই মাথার চুল দিয়ে। এখন তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে মাথার চুল দিয়ে পোর্ট্রেট আঁকা।
প্রথমে নিজেই নিজের চুল ছেঁটে ফেলেন। তারপর সেগুলিকে একত্র করে পাতলা ব্রাশ আর স্বচ্ছ আঠার সাহায্যে চুলগুলিকে ক্যানভাসে স্থাপন করতে থাকেন। এভাবে ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যে সাদা ক্যানভাসে ফুটে ওঠে একটা মুখ।
সমুদ্রে ৮ মাস কাটানোর পর বাড়ি ফিরে তিনি বাকি ৪ মাস নিজের সেলুনে কাটান। সেখানেও নিজের মাথার চুল দিয়েই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন প্রথিতযশা মানুষদের মুখ। যখন আরও চুলের দরকার পড়ে তখন মাথার ২ ধার থেকে চুল ছেঁটে সেই প্রয়োজন মেটান গার্সিয়া।