হতে পারেন তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট। সেই সুবাদে নানা সুযোগ সুবিধাও পেয়ে থাকেন তিনি। দেশের প্রশাসনিক পদ সামলান বলে বেতনও পান। যার অঙ্ক খুব একটা কম নয়। ফিলিপিন্সের মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লক্ষ। যদিও সেই বেতনে কুলোচ্ছেনা সংসার খরচ। একসাথে ২ জনের খরচ চালাতে হচ্ছে যে। ১ জনের ভাত, কাপড়, অন্যান্য সুযোগসুবিধার দায়িত্ব তো আছেই। গোদের ওপর বিষফোঁড়া আবার প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোষ। দুদিক সামলে হাতে আর কি বা থাকে! ২ জন বউয়ের দায়িত্ব কাঁধে চাপলে রাজার ধনও ফুরিয়ে যায়। সেখানে ২ লক্ষ টাকা তো কোন ছাড়। অতএব অবিলম্বে বাড়ানো হোক তাঁর মাইনে। তা বর্তমান বেতনের ৫ গুণ করা হোক। এই দাবিতে সম্প্রতি মুখ খুললেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে। কিছুদিন আগে ফিলিপিন্সের বিদ্রোহী গেরিলা নারীবাহিনীর সদস্যদের যোনিতে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই নির্দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। এবার নিজের ঘরের ২ নারীর জন্য বেতনবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে ফের খবরের শিরোনামে উঠে এলেন রডরিগো দুতার্তে।
তাঁর দাবি, বর্তমানে তিনি যে বেতন পান, তাতে খাওয়ার খরচ আলাদা করে ধরা হয়নি। অনেক সমস্যার মধ্যেই তাঁকে এখন সংসার চালাতে হচ্ছে। প্রাক্তন স্ত্রী এলিজাবেথ জিমারম্যানকে বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবিও করেছেন প্রেসিডেন্ট। তাই অবিলম্বে তাঁর বেতন বাড়িয়ে ১০ লক্ষ করা হোক। ২ স্ত্রীকে নিয়ে নাজেহাল হয়ে যাওয়া রডরিগো দুতার্তে একপ্রকার আবদার জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। বেতন অবশ্য প্রেসিডেন্টের বাড়ানো হবেই। কিন্তু এক লাফে এতগুলো টাকা এখনই তাঁকে দেওয়া হবে না। ফিলিপিন্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো ২০১৬-তে সেই নির্দেশই দিয়ে গিয়েছেন। দেশের চাকুরীজীবী নাগরিক ও সামরিক কর্মীদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেই নির্দেশ অনুসারে আগামী বছর বাড়ানো হবে বর্তমান প্রেসিডেন্টের মাইনে। যার পরিমাণ ফিলিপিন্সের মুদ্রায় ৪ লক্ষ।