বাঘের আঁতুড়ে কাম উদ্দীপনা জাগানো মাশরুম চাষে নিষেধাজ্ঞা
এমন এক মাশরুম যা যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে তার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তা আর বাঘের আঁতুড়ঘরে চাষ করা যাবেনা। জারি হল নিষেধাজ্ঞা।
বাঘেরা যাতে তাদের মত করে থাকতে পারে, বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকার দেশের বিভিন্ন কোণায় তৈরি করেছে অভয়ারণ্য। সেসব টাইগার রিজার্ভে বাঘেরা সংখ্যায় যেমন বাড়ছে, তেমনই শান্তিতে রয়েছে।
তবে বাঘের ঘরে গিয়ে মানুষ যদি ঘোরাফেরা করে তবে তা বাঘ বরদাস্ত করবেনা সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাই হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ-এর গহন জঙ্গলে মানুষের যাতায়াত ছিল।
সেখানে মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকত। কেননা এই গহন জঙ্গল যা কোর এরিয়া হিসাবে পরিচিত, সেখানে একটি বিশেষ ধরনের মাশরুম পাওয়া যায়। যা স্থানীয়ভাবে ‘কাতারুয়া’ নামে পরিচিত।
সেই কাতারুয়া সংগ্রহ করতে এবং কাতারুয়া চাষ করতে সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজির হতেন স্থানীয় মানুষজন।
কাতারুয়া খেতে ভাল। ফলে রান্নার জন্য তার একটা চাহিদা রয়েছে। সেইসঙ্গে এর আরও একটি গুণ অনেককে সেটি কিনতে আগ্রহী করে তুলেছে। তা হল কাতারুয়া-র কাম উদ্দীপনা জাগানোর ক্ষমতা।
এই মাশরুম যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে সেদিক থেকেও এর একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। যা থেকে স্থানীয়দের কিছু রোজগারের সুযোগ রয়েছে।
তাই ক্রমশ টাইগার রিজার্ভের কোর এরিয়ায় উপযুক্ত পরিবেশে এই কাতারুয়া চাষ বেড়ে চলেছিল। আর তা করতে গিয়ে সেখানে প্রবেশ করছিলেন মানুষজন।
সেখানে বাঘের আক্রমণের মুখেও পড়ছিলেন তাঁরা। এই ঘটনা বেড়েই চলেছিল। তাই এবার পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ-এ এই মাশরুম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করল অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।
এই জংলি মাশরুম চাষকে কেন্দ্র করে ক্রমশ মানুষ ও বাঘের লড়াই অন্য মাত্রা নিচ্ছিল। মানুষের ক্ষতি হচ্ছিল। বাঘেরাও শান্তিতে থাকতে পারছিলনা।
সবদিক মাথায় রেখে কোর এরিয়ায় এই মাশরুম চাষ বন্ধ করে দিল পিটিআর কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা