হাতি তাড়াতে এক ঢিলে ২ পাখি মারা পতঙ্গ পুষছে বন দফতর
হাতি আর মানুষের লড়াই লেগেই থাকে। ফসলের ক্ষতি থেকে ঘরবাড়ি নষ্ট করা আটকাতে হাতিদের লোকালয় থেকে দূরে রাখার জন্য এখন বড় ভরসা হচ্ছে খুদে পতঙ্গ।
একদিকে চট করে দেখতে পাওয়াই মুশকিল এমন এক পতঙ্গ। আর অন্যদিকে বহু দূর থেকেও তার অতিকায় নজরকাড়া চেহারার হাতি। এই ২ সম্পূর্ণ বিপরীত চেহারার প্রাণি এবার একে অপরের শত্রু হয়ে উঠতে চলেছে। হাতি তাড়াতে আপাতত এই খুদে পতঙ্গের ওপরই ভরসা রাখছে খোদ বন দফতর।
হাতিরা প্রায়শই লোকালয়ে হানা দেয় খাবারের খোঁজে। গ্রামে গ্রামে হাতির পাল ঢুকে ফসল ধ্বংস করে। বাড়ি ঘর তছনছ করে দেয়। এমনকি সামনে মানুষ পড়ে গেলে তারও ক্ষতি করে দেয়।
বেপরোয়া দামাল হাতিদের থেকে রক্ষা পেতে পাল্টা মানুষও নানা উপায়ে হাতিদের তাড়া করে। সব মিলিয়ে হাতি আর মানুষের লড়াই চলতে থাকে।
হাতির হামলার এই সমস্যা রয়েছে পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ বা দুধওয়া জাতীয় উদ্যানেও। পিলিভিট টাইগার রিজার্ভের আশপাশে যে জনবসতি রয়েছে, গ্রাম রয়েছে, সেখানে প্রায় দিন হাতির হামলা হয়। বন দফতর তাই অন্য পথ নিচ্ছে হাতিদের লোকালয় থেকে দূরে রাখতে।
বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, হাতির পায়ের সামনের দিকের একটা অংশ ভীষণ স্পর্শকাতর হয়। সেখানে যদি কোনওভাবে মৌমাছি হুল ফোটায় তাহলে তারা ওই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেনা।
তাই মৌমাছিদের ভনভন আওয়াজ পেলেই হাতিরা বুঝতে পারে আশপাশে মৌমাছির পাল রয়েছে। আর একবার তা বুঝতে পারলেই সেখান থেকে দ্রুত চম্পট দেয় তারা।
বন দফতর হাতির এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে পিলিভিটের জঙ্গলের আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামকে চিহ্নিত করেছে। সেখানে শুরু হচ্ছে মৌমাছির চাষ।
এভাবে একদিকে তারা সহজেই হাতিদের এসব গ্রাম থেকে দূরে রাখতে পারবে। আবার মৌমাছি চাষ জানলে প্রচুর মধু উৎপাদিত হবে। সেই মধু গ্রামবাসীদের অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা