World

জল ভরা চোখে সবাই মাতলেন জমজমাট পার্টিতে, হল খাওয়াদাওয়া, নাচ, গান, আনন্দ

অতিথিদের জন্য আয়োজনে খামতি ছিলনা। দারুণ ভ্যেনু। প্রচুর খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত। নাচ, গান, আনন্দে মাতলেন সকলে। তবে চোখ ভরা জল নিয়ে।

আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ৫০ জনের মত মানুষ। যেখানে পার্টির ব্যবস্থা হয়েছিল সে জায়গাটিতে পৌঁছে সকলের মন ভরে যায়। সাজানো সুন্দর এক জায়গা। পার্টিতে মেতে ওঠার জন্য আদর্শ। অতিথিরা পৌঁছনোর পরই তাঁদের জন্য তৈরি ছিল নানারকম পানীয়। ছিল প্রচুর খাবার।

যাঁর যেটা পছন্দ খেতে পারেন। ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিলনা। ছিল গানের ব্যবস্থা। গায়ক গান গাইছেন। সকলে আনন্দ করছেন। খাওয়াদাওয়া করছেন। এর মাঝেই একটি বড় পর্দায় ফুটে উঠল কিছু ছবি।


যে ছবিতে ওই পার্টিতে উপস্থিত অতিথিরাও ছিলেন। পারিবারিক ফটোর অ্যালবাম একের পর এক স্লাইড হয়ে পর্দায় ফুটে উঠছিল। অনেক পুরনো কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল। যে মানুষটি এইসব আয়োজন করেছিলেন তিনি নিজে ওই ছবিগুলির সঙ্গে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন।

এরপর অনেকেই তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সবই ওই পার্টির আয়োজক বৃদ্ধের সম্মানে। বৃদ্ধের মেয়েও একটি বক্তব্য রাখেন। বাবার সম্বন্ধে এক মেয়ের মনের কথা উঠে আসে সেই বক্তব্যে। সকলের চোখে তখন জল।


ওই বৃদ্ধ ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি জানেন তিনি আর বেশিদিন এই পৃথিবীতে থাকতে পারবেননা। তাই শেষবারের মত পরিবার, আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুদের নিয়ে মেতে উঠলেন আনন্দে। তাঁর পৃথিবীকে বিদায় জানানোর পার্টিতে।

এটাই তাঁর শেষ পার্টি। এরপর অপেক্ষা। তারপর সেই দিনটা আসবে। যেদিন সকলকে ফেলে তাঁকে চলে যেতে হবে এক নিরুদ্দেশের পরলোকে। তার আগে জীবনের শেষ পার্টির আয়োজন করে সকলকে আনন্দে ভরিয়ে দিলেন তিনি।

পার্টির শেষলগ্নে সকলে একসঙ্গে নাচলেন। চোখ ভরা জল নিয়ে শেষ হল পার্টি। বৃদ্ধ অবশ্য তৃপ্ত। তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়েছে। ইহলোক ত্যাগের পার্টিতে কোনও ত্রুটি রাখেননি তিনি। এই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এই অন্য পার্টি হয়েছে পোল্যান্ডে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button