কাঠি আইসক্রিম আবিষ্কার করেছিল ১১ বছরের কিশোর, সে এক বিস্ময়কর ঘটনা
আইসক্রিমের প্রতি মানুষের ভালবাসা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কাঠি আইসক্রিম সেই আকর্ষণের অন্যতম। যার আবিষ্কারের কাহিনিটি আরও চমকপ্রদ।
কাঠি আইসক্রিম তো কমবেশি সকলেই খেয়েছেন। কাঠি আইসক্রিম খাওয়ার অন্য মজা। ছোট্ট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ, এমন কোনও বয়স হয়না যে বয়সের মানুষ কাঠি আইসক্রিম পছন্দ করেননা। বিশেষ করে গরমের দিন হলে কাঠি আইসক্রিম আরও মনের মত হয়ে ওঠে।
পরাণ চায় এমন একটা আইসক্রিম জিভে ছুঁইয়ে প্রাণ ভরাতে। আইসক্রিমের জগতে কাঠি আইসক্রিমের এক আলাদা জায়গা আছে। সেই কাঠি আইসক্রিম আবিষ্কার হয়েছিল আচমকাই। তাও আবার এক ১১ বছরের কিশোর এটি আবিষ্কার করে ফেলে কার্যত খেলার ছলে, না বুঝেই।
সময়টা ১৯০৫ সাল। আমেরিকার সান ফ্রানসিসকো বে এলাকার বাসিন্দা ১১ বছরের বালক ফ্রাঙ্ক ইপারসন এক শীতের রাতে ফলের স্বাদের সোডায় চুমুক দিচ্ছিল। কিন্তু পুরোটা তার খেতে ইচ্ছা করেনি। সে বাকি সোডাটা বাড়ির বারান্দায় রেখে দেয়। আর খেলার ছলেই সেই তরলে ডুবিয়ে দেয় হাতের কাছে থাকা একটা কাঠি। নিছকই বালকের খেলা। এরপর সে ঘুমোতে চলে যায়।
এদিকে রাতে সেদিন প্রবল ঠান্ডা। সকালে উঠে ফ্রাঙ্ক দেখে ওই সোডা জমে গেছে। আর তা থেকে কাঠির একটা অংশ বেরিয়ে আছে। ব্যাপারটা মজার ঠেকে তার কাছে।
এরপর কেটে যায় বেশ কিছু বছর। ১৯২৩ সালে ফ্রাঙ্ক তখন বড় হয়েছেন। তিনি তখন তাঁর ওই আবিষ্কারের পেটেন্ট নেন। আর সেটির নাম দেন পপসিকল। যা এখনও কাঠি আইসক্রিম নামে বাংলায় পরিচিত।
অবশ্য তাঁর এই আবিষ্কারের পেটেন্ট নেওয়ার ২ বছরের মধ্যেই সেই সত্ত্ব ফ্রাঙ্ক একটি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেন। ওই সংস্থার হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়ে কাঠি আইসক্রিম। যা গোটা বিশ্বের কাছে আজও এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং পছন্দের মন ভাল করা খাবার।