জলে রেশন, খরার থাবায় নর্দমার জলও কাজে লাগাচ্ছে গোটা দেশ
যথেচ্ছ জল ব্যবহার করা একেবারেই যাবেনা। জলে রেশন বেঁধে দিল প্রশাসন। এমনটা বড় একটা দেখা যায়না। এবার সেটাই বাস্তবে হল।
গোটা দেশটাই চলে গেছে খরার কবলে। ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই খরায় জর্জরিত। এমন ভয়ংকর খরা পরিস্থিতি এর আগে বড় একটা দেখা যায়নি।
ফেব্রুয়ারি থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছিল। তখনই বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন খরা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করে। কোপ পড়ে গাছদের প্রাপ্য জলেও।
দেশের ক্ষেতখামারে প্রচুর জল দরকার পড়ে। যা সেচের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। ওই জলের ওপর নির্ভর করছে ফসলের মান। তার বড় হয়ে ওঠা। কিন্তু দেশে জলের অভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেই জলটুকুও দেওয়ার উপায় ছিলনা। ফলে সেচের জল অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় জলে কার্যত রেশন করে দেওয়া হচ্ছে। জল ব্যবহার গোটা দেশেই বেঁধে ফেলা হয়। এমনকি নর্দমার জলকেও কাজে লাগানো শুরু হয়ে যায়।
নোংরা জল পানের কাজে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া পান করার মত জলও যেহেতু দেশে সীমিত তাই দেশবাসীকে সেই জল যাতে এতটুকুও নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকেই এই ভয়ংকর খরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে পর্তুগাল সরকার।
পর্তুগালের মানুষজন এখন চরম খরা পরিস্থিতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। এই খরা পরিস্থিতিকে পাল্টা আক্রমণ করতে জল ব্যবহার সীমিত করার পথই নিয়েছে সে দেশের সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা