রেস্তোরাঁর বদমেজাজি গ্রাহককে শায়েস্তা করতে গিয়ে তৈরি হল পটেটো চিপস
দুনিয়ায় এমন অনেক জিনিস জনপ্রিয়তার চূড়া ছুঁয়েছে যার জন্ম হয়েছিল আকস্মিকভাবে। এভাবেই রেস্তোরাঁর আসা এক বদমেজাজি গ্রাহককে শায়েস্তা করতে তৈরি হয় পটেটো চিপস।
রেস্তোরাঁটির যথেষ্ট সুনাম ছিল। কাছেই ছিল একটা চোখ জুড়োনো ঝর্ণা। রেস্তোরাঁটির আরও নামডাক ছিল তার দারুণ খাবারের জন্য। আর সেই সুনামের সবচেয়ে বড় ভাগীদার ছিলেন এই রেস্তোরাঁর শেফ।
জর্জ ক্রাম নামে ওই শেফের কাছে একদিন এক অর্ডার আসে। এক গ্রাহক আলু ভাজার অর্ডার দেন। ক্রাম আলু ভাজা তৈরি করে ডিশে সাজিয়ে পাঠান।
ক্রাম এতটাই ভাল রান্না করতেন যে তিনি নিজেও বিশ্বাস করতেন তাঁর বানানো ডিশ স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় হয়। আর তা খেয়ে কেউ বদনাম করতে পারবেননা। কিন্তু সেদিন সেটাই হল।
ওই বদমেজাজি গ্রাহক রেস্তোরাঁর ওয়েটারকে ডেকে সাফ জানালেন এমন মোটা মোটা করে তেল চবচবে আলু ভাজা তাঁর একদম ভাল লাগেনি। তিনি আরও একটি ভাল করে আলু ভেজে আনার জন্য অর্ডার দেন।
ওই গ্রাহকের অভিযোগ শোনার পর ক্রাম এতটাই রেগে যান যে তিনি স্থির করেন পরের প্লেটে তিনি এমন আলু ভাজা খাওয়াবেন যে বাছাধন টের পাবে।
ক্রাম এবার আলুগুলোকে যতটা পারা যায় ততটা পাতলা করে কাটলেন। তারপর বেশিক্ষণ ধরে সেগুলো ভাজলেন। এবার সেগুলো প্লেটে ঢেলে তাতে ভাল করে নুন ছড়িয়ে দিলেন। মোটকথা তাঁর লক্ষ্যই ছিল ওই গ্রাহককে উচিত শিক্ষা দেওয়া।
প্লেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছল। এমন আলু ভাজা তিনি কেন কেউ কখনও দেখেননি। তিনি একটা মুখে তুললেন। তারপর এক এক করে সব শেষ করে দিলেন। জর্জ ক্রামের তো মাথায় হাত। কি করতে গেলেন আর কি হল!
এদিকে ওই বদমেজাজি ভুল ধরা গ্রাহকও ওই আলু ভাজা খেয়ে একেবারে আপ্লুত। এরপর ওই পাতলা করে আলু ভাজা খাওয়ার জন্য ভিড় জমতে শুরু করল নিউ ইয়র্কের সারাটোগা ঝর্ণার কাছের রেস্তোরাঁয়।
গ্রাহককে শায়েস্তা করতে গিয়ে জর্জ ক্রাম সেদিন বিশ্বখ্যাত এক খাবার বানিয়ে ফেলেছিলেন। নাম পটেটো চিপস। যদিও ক্রামের সেই পটেটো চিপসের প্রথমে নাম ছিল সারাটোগা চিপস। পরে তা পটেটো চিপস হয়ে যায়।