শীতের রোদ গায়ে মেখে শান্তিনিকেতনে নিখাদ ছুটি কাটাতে বাঙালি সিদ্ধহস্ত। সুযোগ পেলে ছাড়ার প্রশ্নই উঠছে না। আর শীতে যখন শান্তিনিকেতনেই যাবেন তো পৌষমেলার দিনক্ষণ দেখেই যাওয়া ভাল। বাঙালির শীতের বেড়ানোর অন্যতম আকর্ষণ শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার সূচনা হল শনিবার। শান্তিনিকেতনের দীর্ঘদিনের প্রচলন, পৌষ মাসের সপ্তম দিনে পৌষমেলার শুরু। সেই প্রথা মেনে ছাতিমতলায় বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে এ বছরের পৌষ মেলা শুরু হল।
হল বটে তবে কিছুটা নিস্তেজভাবেই। পরিবেশ দূষণ রোখার জন্য এবার থেকে ৬ দিনের জন্য বসবে এই মেলা। এমনই নির্দেশ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের। ৩ সদস্যের তদারকি কমিটি নজরদারিও চালাবে মেলার উপর। ফলে মেলা এবার কতটা জমবে তা নিয়ে চিন্তিত বিক্রেতারা। তবে ভরসা একটাই। মেলার নাম পৌষমেলা। দেশ তো বটেই বিদেশিদের কাছেও এই মেলার আকর্ষণটাই অন্য। তাই সেকথা মাথায় রেখে যদি বিক্রি হয়ে যায় পসরার ডালি!
১৮৪৩ সাল। কুড়ি জন অনুগামীকে নিয়ে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ক্যালেন্ডারে দিনটা ছিল ৭ পৌষ। ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্ম মন্দির প্রতিষ্ঠার ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্দিরের উল্টোদিকের মাঠে ৭ পৌষ ছোট করে শুরু হয় পৌষমেলা। এরপর মেলা জনপ্রিয়তা পেলে জায়গার অভাব দেখা দেয়। মেলা উঠে আসে পূর্বপল্লির মাঠে। কালের বিবর্তনে সেদিনের গ্রাম্য পৌষ মেলা আজ পরিণত হয়েছে শহুরে বাণিজ্য উৎসবে।