লড়াই শেষ। চলে গেলেন কলকাতা ফুটবলের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। একসময়ে ময়দান কাঁপানো এই ফুটবলার গত সোমবার থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকদের একটি টিম তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন। সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত জানুয়ারিতেও তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তখনকার মত তাঁকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরান চিকিৎসকেরা। কিন্তু ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অবশেষে শুক্রবার দুপুর ২টো ৮ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পারকিনসন রোগ, ডিমেনশিয়া-র সমস্যাও ছিল। ১৯৩৬ সালে উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে জন্ম হয় প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতার তথাকথিত বড় ক্লাব মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলে কখনও খেলেননি তিনি। তবে তাঁর ফুটবল প্রতিভা কলকাতা ময়দানের কাছে অপরিচিত নয়।
জীবনে ভারতীয় দলের হয়ে ৮৪টি ম্যাচ খেলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। গোল করেন ৬৫টি। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকস-এ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করে ওই ম্যাচে ভারতকে সমতায় ফেরান। খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এশিয়াডেও ভারতের হয়ে তাঁর খেলা চিরদিন মানুষের মনে থাকবে। খেলার পাশাপাশি তিনি সফল কোচও ছিলেন।
মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলে না খেললেও তিনি এই ২ দলেরই কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। যথেষ্ট সাফল্যও পেয়েছেন। তাঁর ভাই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলার ফুটবল তারকা। যিনি একজন সাংসদও। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। পারকিনসন রোগ ক্রমশ তাঁকে কাবু করছিল। হাঁটতে সমস্যা হত। তবু ওই অবস্থাতেও বিভিন্ন ফুটবলের অনুষ্ঠানে মাঠে উপস্থিত থাকতে ভালবাসতেন তিনি।