চরম দারিদ্র, পোলিও, বাধার পাহাড় পেরিয়ে আজ সোনার ছেলে প্রমোদ
প্যারাঅলিম্পিকসে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন প্রমোদ ভগত। কিন্তু এক সময় চরম দারিদ্রের কারণে তাঁর ব়্যাকেট কেনারও পয়সা ছিলনা।
চরম দারিদ্রের সঙ্গে লড়াইটাই একমাত্র লড়াই ছিলনা, সেইসঙ্গে ৫ বছর বয়সে পোলিও গ্রাস করে তাঁকে। অতিদরিদ্র পরিবারের ছেলেটিকে তাঁর বাবা মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যান তাঁর পিসি-পিসেমশাই।
নিঃসন্তান পিসি তাঁকে নিজের ছেলের মতই বড় করতে থাকেন। পোলিও আক্রান্ত ছেলেটার শখ ছিল ব্যাডমিন্টন খেলার। কিন্তু দরিদ্র পিতা তাঁকে ব্যাডমিন্টন ব়্যাকেট কিনে দিতে পারেননি।
পিসির কাছে আসার পরও যে সেটা সহজেই মিলেছিল তা নয়। সে পরিবারেও ছিল দারিদ্র। তবে পিসি পরে তাঁকে ব়্যাকেট কিনে দেন।
এরপর শুরু হয় সেই লড়াই। ব্যাডমিন্টনের প্রতি অমোঘ আগ্রহ থেকে ক্রমশ প্রমোদ সব বাধা অতিক্রম করে নিজেকে তৈরি করতে থাকেন।
লড়াই আরও ছিল। বিহারের বৈশালী জেলার হরিপুর শহরের ছেলে প্রমোদ ব্যাডমিন্টন তো খেলতে শুরু করলেন। কিন্তু বিহারে খেলাধুলোর জন্য যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই। তাও খুবই দুর্বল। ফলে অনেক প্রতিভা এই পরিকাঠামোর অভাবে হারিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন প্রমোদের দাদা।
তেমন একটা জায়গা থেকে নিজেকে মেলে ধরা সহজ কাজ ছিলনা। কিন্তু প্রমোদ পেরেছেন। সেখান থেকই ফিনিক্স পাখির মত তিনি মেলেছেন ডানা। পৌঁছে গেছেন প্যারাঅলিম্পিকসের আসরে। তারপর ভারতকে এনে দিয়েছেন সোনার পদক।
এখন প্রমোদের হাত ধরে বিহারের ক্রীড়া পরিকাঠামোর হাল ফিরবে বলে মনে করছেন অনেকে। হয়তো একদিন প্রমোদের মত এতটা লড়াই করতে হবে না অনেক প্রতিভাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা