রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পঞ্চভূতে বিলীন প্রণব মুখোপাধ্যায়
ভারতীয় সেনার তরফে রীতি মেনেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শেষ বিদায় জানানো হল শ্মশানে। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেল একটা অধ্যায়।
নয়াদিল্লি : মঙ্গলবার সকালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর বাসভবনে। ১০ নম্বর রাজাজি মার্গ-এ এটাই ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষবারের জন্য আসা। তাঁর দেহ সেখানে শায়িত থাকে মানুষের শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য। অবশ্য প্রণববাবুর করোনা ধরা পড়ায় এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে বিধিনিষেধ থাকায় সেভাবে মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রধানত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই এসেছিলেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। আসেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি সোমবার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই ট্যুইটে শোক প্রকাশ করেন। একটি ছবিও দেন। যাতে দেখা গেছে তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেহ শায়িত থাকে দুপুর পর্যন্ত। অনেকেই এসে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। যারমধ্যে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, ৩ সেনা প্রধান, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত সহ অনেকে।
পশ্চিমবঙ্গে এদিন প্রণববাবুর মৃত্যুতে রাজ্যসরকার ছুটি ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী প্রণববাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রণববাবু ছিলেন তাঁর অভিভাবক সম। দেশে সরকারিভাবে প্রণববাবুর মৃত্যুতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। সরকারি স্তরে কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার পর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেহ তাঁর বাসভবন থেকে বার করা হয়। রীতি হল রাষ্ট্রপতি বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে শেষযাত্রায় সেনাবাহিনীর কামানবাহী শকট ব্যবহার করা। কিন্তু করোনা ধরা পড়ায় এদিন প্রণববাবুকে কামানবাহী শকটে নয়, নিয়ে যাওয়া হয় ফুল দিয়ে সাজানো শববাহী গাড়িতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা